ঝিনাইদহে এবার রেল লাইনের দাবীতে কলেজ ছাত্রের অনশন, মাঠে নেই রাজনৈতিক দল!
প্রতিনিধি ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ জেলা শহরে রেল লাইন নির্মানের দাবীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু মানুষ সক্রিয় হলেও মাঠে নেই রাজনীতিবিদরা। ফলে রেল যোগাযোগের মুল শ্রোতধারা থেকে কি ঝিনাইদহ বিচ্ছিন্ন হতে যাচ্ছে? এমন আশংকা ব্যাক্ত করেছেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। জেলার মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও নেতৃত্বের অভাবে কোন আন্দোলন বা সংগ্রাম লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অবশ্য গত বছর নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে মানুষ মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মাগুরা জেলাকে রেল লাইনের আওতাভুক্ত করার ঘোষনার পর তীব্র কোন পতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি, ওয়ার্কাসপাটি ও জাসদসহ বিভিন্ন রাহনৈতিক দলের এ বিষয়ে জোটবদ্ধ আন্দোলন মানুষ আশা করছেন এমন কথাও চায়ের দোকানে আলোচিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সুশিল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে মানুষ যাদের মানেন বা জানেন তারা অচিরেই মাঠে নামবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।
ঝিনাইদহ পোষ্ট অফিস মোড়ে দাড়িয়ে থাকা রেজাউল ইসলাম আলী নামে এক রিক্সা চালক মনে করেন, রেল লাইনের দাবীতে সবাইকে ঝাপিয়ে পড়া উচিৎ। কারণ ঝিনাইদহ শহরে এক সময় রেললাইন ছিল। একই কথা জানালেন, হরিণাকুন্ডু থেকে ঝিনাইদহ শহরে আসা আব্দুস সাত্তার। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা মাঠে না নামলে এই আন্দোলন বেগবান হবে না। ঝিনাইদহের মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও নারিকেলবাড়িয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু বলেন, আমরা নতুন করে আন্দোলনের কর্মসুচি নিয়েছি। মঙ্গলবার নারী মুক্তি আন্দোলনের ব্যানারে একটি মানববন্ধন হবে। এরপর আমরা রেল লাইন ঘোষনা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামাবো না। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড আজিজুর রহমান জানান, আমরা অচিরেই দলীয় ভাবে মানববন্ধন কর্মসুচির মাধ্যমে ঝিনাইদহে রেললাইন স্থাপনের দাবী সরকারকে জানাবে। তিনি বলেন, রেললাইন এখন ঝিনাইদহের মানুষের প্রাণের দাবী।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক জানান, ঝিনাইদহে রেললাইনের দাবীতে করা আন্দোলনের সাথে আমরা একাতত্মা ঘোষনা করেছি। আমাদের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময় সামাজিক সংগঠনগুলোর কর্মসুচিতে অংশ নিচ্ছি। এদিকে ঝিনাইদহে রেল লাইনের দাবীতে অনশন পালন করছেন আব্দুল্লাহ নামে এক কলেজ ছাত্র। ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মঙ্গলবার সকাল থেকে তিনি অনশনে বসেছেন। ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চনপুর গ্রামের বাসিন্দা কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এ কর্মসূচী পালন করবেন বলে জানান। আব্দুল্লাহর ভাষ্যমতে, পদ্মা পাড় থেকে রেল লাইনটি মাগুরা হয়ে যশোরে মিলিত হচ্ছে। কিন্তু এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদার ঝিনাইদহ রেল লাইন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই মাগুরার সাথে ঝিনাইদহ সদর হয়ে চুয়াডাঙ্গা পর্যন্ত রেল লাইনের দাবী জানান তিনি।