লোহাগড়ায় পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ জনজীবন
কাজী আশরাফ, লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি: প্রচন্ড তাপে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সর্বস্তরের জনজীবন। টানা ভ্যাপসা গরম আর অনাবৃষ্টির কারণে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। গরম বাতাস শরীরে লাগছে আগুনের হলকার মতো। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি কাবু হয়ে পড়েছে। নেতিয়ে পড়েছে গাছ-গুল্ম-লতা-পাতা। প্রণিকুলও বিপর্যস্ত। গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অসহনীয় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। সাধারণ মানুষের মাঝে বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিংয়ের ফলে চরম হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে । এ ভাবে চলতে থাকলে জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে ধারনা করছেন সচেতন মহল। তীব্র গরম আর অসহনীয় তাপমাত্রার কারনে দিনের বেলায় শহরে লোকজনের চলাচল অন্য সময়ের চেয়ে অনেকটাই কম। শ্রমজীবি মানুষ বাইরে বের হলেই অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। ক্লান্তি দুর করতে কেউ পান করছে ডাবের পানি। এলাকায় আশঙ্কা জনক ভাবে দেখা দিয়েছে শিশু ডায়রিয়াসহ শ্বাস-কষ্ট জনিত রোগ-ব্যাধি। হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রীয়া রোগীর সংখ্যা। জানা গেছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমনকি তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি। লোহাগড়া লক্ষীপাশা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পাপিয়া রহমান বলেন, “ লোডশেডিংয়ের কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। প্রচন্ড গরম এবং বিদ্যুৎ না থাকার দরুন দিন দিন ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি কমছে”। তিনি আরও বলেন, এরকম চলতে থাকে শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।” মডেল ক্লিনিকের মালিক মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, “ অনিয়মিতি বিদ্যুৎ সবরাহের কারনে এক্স-রে করাসহ সমস্ত প্যাথলজিক্যাল কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ফলে রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে”। লক্ষীপাশা আদর্শ বিদ্যলয়ের ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী কাজী পুষ্পিতা বলেন, “সামনে অর্ধবার্ষীকি পরীক্ষা, সন্ধা হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, প্রচন্ড গরম এবং বিদ্যুৎ না থাকার কারনে আমরা ঠিকমত লেখাপড়া করতে পারছি না।
এ বিষয়ে কথা হয় যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন লক্ষীপাশা সাব জোনাল অফিসের এজিএম কম শিরিফুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, “১লা মে আশুগঞ্জ টু সিরাজগঞ্জ উচ্চচাপ সঞ্চালন লাইন টাওয়ার ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে পূর্ববাংলা থেকে দক্ষিনবাংলায় যে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় তা হচ্ছে না, ফলে ওভারলোডে আমাদের রাজশাহী বিভাগ, খুলনা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগরে ৩৮টি জেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যায় দেখা দিয়েছে। আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধাণ হয়ে যাবে।