চট্রগ্রামে রাইডার চালক রুবেলের ব্যাংক ! প্রতারিত হচ্ছে গ্রাহক-ধারাবাহিক ১
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্রগ্রাম রপ্তানী প্রক্রিয়াজাত করন (সিইপিজেড) এলাকায় ঝনক প্লাজার ৪র্থ ও ৫ম তলায় গার্মেন্টস শ্রমিক , নিন্ম ও মধ্যবিত্ত জনগনকে টার্গেট করে প্রশাসনকে একপ্রকার অন্ধকারে রেখে বাংলাদেশের তফশীলী ব্যাংকের মতো লেনদেন করছে সাইন বোর্ড ব্যানার বিহীন নাম সর্বম্ব প্রতিষ্টান কিং ডিজিটাল মাল্টিপারপাস লিঃ । ডিজিটাল কিং মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর ইউনিট ম্যানেজার মোঃ ইলিয়াছ হাওলাদার জানান, অনিয়ম , দূর্নীতি গ্রাহকের স্বার্থে কথা বলায় ওবাইদুল্লাহ রুবেল জোর পূর্বক নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর করে রাখে । তিনি আরো বলেন, গ্রাম গঞ্জ থেকে চাকুরীর জন্য আসা শহরমুখী বেকার যুবক-যুবতীদের মোটা অংকের বেতনের লোভ দেখিয়ে চাকুরীর জামানত বলে জনপ্রতি ১০৫০ টাকা করে নিয়ে কোন প্রকার নিয়োগ পত্র না দিয়ে মাসের পর মাস বিনা বেতনে খাটিয়ে তাদের বেতন তো দূরে থাক জামানতের টাকা পর্যন্ত ফেরত দেয়না , উলটো কমিশন বিত্তিক এপ ডি আর , ডিপিএস করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন, এম ডি ব্যাংকের মতো লেনদেন করলেও গ্রাহকে টাকা গ্রহন করে যে রিসিট দেওয়া হয় তাতে ভবিষ্যতে গ্রাহক তার টাকার দাবী মেটাতে যথেষ্ট নয় । কারন সেখানে সমিতির কোন রেজিঃ নাম্বার নেই । এক প্রশ্নে রেহানার কথা জানতে চাইলে কখনও তার স্ত্রী, আবার কখনও তার ব্যক্তিগত পি এস আবার অফিস কর্মচারী বলে জানান । কিং ডিজিটাল মাল্টিপারপাস গর্ভামেন্ট রেজিস্টার নং-৮১৯৫/৪৩২ থাকলেও তা কোথায়ও ব্যাবহারিত হচ্চেনা ।
মূলত মোঃ আবুতাহের সভাপতি, ম্যনেজিং ডাইরেক্টর রেহান উদ্দিন রানা, অর্থ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ সমবায় সমিতি থেকে অনুমোদন নেয় কিন্তু চতুর ওবাইদুল্লাহ রুবেল রুপসা নামের আরেকটি মাল্টিপারপাস লিঃ থেকে ১৬ কোটি টাকা আত্নসাত করে এবং বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িয়ে ছিলেন এই নিয়ে অনেক শালিস, বিচার হয়েছে বলে জানান , ডিজিটাল কিং মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সার্বিক পরিচালনার দায়িত্ব তার নিজ হাতে নিয়ে ইচ্ছে মতো পরিচালনা করছেন। ওবাইদুল্লাহ রুবেল বলেন, ২০১৫ইং সালে সমবায় অফিস থেকে বনায়ন এর জন্য নিবন্ধিত করা হয় । পরে সমবায় অফিসে সংশোধনী করে ডিজিটাল কিং মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ করা হয় ২০১৭ইং সালে । এখনকার কমিটি এডকহ কমিটি আমরা একটি পুনাঙ্গ কমিটি করবো । তিনি বলেন, প্রতিদিন জমা পড়ে ৩০-৩৩ লক্ষ টাকা প্রতিমাসে ৯০ কোটির উপরে । জমাকৃত টাকা যা আসে নিজস্ব লকারে রাখি । জমাকৃত টাকা বেশি হলে বিভিন্ন জনের একাউন্টে থাকে । তিনি জানান সমিতির কোন ব্যাংক একাউন্ট নেই । সরকারী কোন কর প্রদান করিনা । সমিতির আয়ের উৎস সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি । কোনো জয়েন্ট স্টক থেকে নিবন্ধন করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান । সমিতির রিসিটে সমবায় রেজিস্টার নাম্বার নাই কেন জানতে চাইলে এর কোন সৎত্তর দিয়ে পারেননি । মাসিক অফিস ভাড়া ও কর্মচারীর বেতন সহ ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা খরচ করে বলে জানান ওবাইদুল্লাহ রুবেল ।
ডবলমুরিং থানা সমবায় সমিতি অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, ডিজিটাল কিং মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এর কোন দৃশ্যমান সাইনবোর্ড , ব্যানার নেই । সমিতির নামে সরকারী বেসরকারী কোন ব্যাংক একাউন্ট নেই । ব্যাক্তিগত একাউন্টে গ্রাহকের টাকা জমা রাখে, আয়-ব্যায়ের অডিট করে না দীর্ঘ দিন সমবায় সমিতি অফিস থেকে বার বার সাবধান করা হয়েছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি এবং পুরো ব্যপারটা তদন্তদিন আছে , তিনি আরো বলেন, তাদের কোন আয়ের উৎস নেই । জনগনের এ টাকা ফেরত দেওয়ার তেমন কোন উৎস পাওয়া যায়না । জেলা সমবায় সমিতি কর্মরকর্তা মাহাবুর রহমান ভুঁইয়া জানান, সমিতির চেক দেওয়ার বিধান নেই , গ্রাহক তাদের লাভ বুঝে সমিতিতে অর্ন্তভুক্ত হয়েছে , গ্রাহকের সাথে সমিতির নিশ্চয় এ ব্যাপারে চুক্তি আছে । এ ব্যাপারে আমার কিছু করার নেই । কোন গ্রাহক এ পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি । সমবায় সমিতি এসব প্রতিষ্ঠানে জনগনকে টাকা না রাখতে বলেছে , টাকা কেন রাখে গ্রাহক পাগল নাকি ।উল্লেখ্য যে উক্ত ওবাইদুল্লাহ রুবেল একসময় রাইটার ড্রাইভার ছিল কিন্তু বর্তমানে তিনি কোটি টাকার মালিক, সুন্দরী মেয়েদের চাকরির লোভ দেখিতে বিভিন্ন অপকর্ম করেছে এবং অনেকের গর্ভধারন হলে হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত করানো হয় , যাদের গর্ভপাত করতে সক্ষম হয়নি তাদের বিয়ে করে, রুবেলের একাধিক স্ত্রী রয়েছে বলে জানা যায় । নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন ব্যাংকার বলেন, এভাবে ব্যাংকের মতো লেনদেন করা উভয় পক্ষের জন্য বৈধ নয় । আর লভ্যাংশের সরকারি বিধি আছে , এর বাইরে যে কেউ ইচ্ছে করলে লাভাংশ ঘোষনা করতে পারেনা। জনগনকে এব্যাপারে সচেতন হতে হবে । সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন ডেসটিনি , যুবক, MLM , এ জাতীয় নানা কোম্পানী বা লিঃ জনগনের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া পর আমরা সচেতন হই। কিন্তু সময় থাকতে ব্যবস্থা গ্রহন করিনা জনগনের বিশেষ করে নিন্মআয়ের নারী শ্রমিকগন সরল বিশ্বাসের লাভের আশায় সহজলভ্য হওয়ায় এসব প্রতিষ্টানে টাকা জমা রাখে । টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার পর এদের আর খুঁজে পাওয়া যায়না । এখনই প্রশাসন এব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়ে জবাবদিহীতার আওতায় আনবে মনে করে সচেতন মহল ।