নেত্রকোনার মদনে হাত বাড়ালেই মিলছে যৌন উত্তেজক সিরাপ
তোফাজ্জল হোসেন,মদন( নেত্রকোনা): নেত্রকোনার মদনে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে যৌন উত্তেজক সিরাপ। ইউনিভার্সাল ফার্মাসিটিক্যালস (ইউনানী) নামীয় একটি প্রস্তুতকারী কোম্পানির জিনজেন যৌন উত্তেজক সিরাপ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে মুদির দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। যা সেবন করে নানা ভাবে শারীরিক ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছে যুব সমাজ । রোববার ও সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,উপজেলার দেওয়ান বাজার,মদন বাজার,বালালী বাজার.ফতেপুর বাজার ও মুতিয়াখালী বাজারসহ বিভিন্ন মোড়ে মুদির দোকানে যৌন উত্তেজক এ সিরাপটি বিক্রি হচ্ছে দীর্ঘদিন যাবৎ।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক বিরোধী অভিযান চালালেও যৌন উত্তেজক নিষিদ্ধ সিরাপ বিক্রিকারীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এ ব্যবসা। এ অবস্থা চলতে থাকলে জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে পড়বে। ড্রাগ লাইসেন্সধারী ফার্মেসী গুলোতে সিরাপ বিক্রি করার কথা থাকলেও তা উপেক্ষা করে মুদির দোকানে সরবরাহ করে আসছে কোম্পানির প্রতিনিধিরা। যৌন উত্তেজক সিরাপ এখন হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে উঠতি বয়সের যুবকরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ যৌন উত্তেজক সিরাপ গ্রহণ করার ফলে দেখা দিচ্ছে শারীরিক নানান জটিলতা। হারিয়ে ফেলছে তাদের পুরুসত্তা। পরবর্তী দাম্পত্য জীবনে দেখা দিচ্ছে কলহ। অনেকেই সারা জীবনের মতো হারিয়ে ফেলছে যৌবনের ভারসাম্য। আগে ফার্মেসী গুলোতে যৌজ উত্তেজক ওষধ পাওয়া যেত। এখন আর ফার্মেসীতে যেতে হচ্ছে না গ্রাহকদের। এখন পান মুদি দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে উত্তেজক বাহারি ট্যাবলেট, সিরাপ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরবরাহকারী জানান,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় হারবাল সিরাপের নামে যৌন উত্তেজক জুস। এরপর বোতলজাত করে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে আশপাশের জেলা উপজেলাও বিভাগ গুলোতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক ব্যবসায়ী জানান,ভাল-খারাপ বুঝিনা এগুলো নিচ্ছে তুরুন যুবকরা। সবাই বিক্রি করে তাই আমিও বাজার ধরে রাখার জন্য বিক্রি করি। এতে করে অভিভাবকরা সঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এলাকার সচেতন মহলের অভিমত মাদক বিরোধী অভিযানের মতোই যৌন উত্তেজক ওষধ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে। জিনজেন সিরাপ ডিলার স্বপন পালের সাথে এ ব্যপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। কোম্পানীর লোকজনের সাথে কথা বলেন। ইউনিভার্সাল ফার্মাসিটিক্যালস (ইউনানী) রিজিওনাল ম্যানেজার জাহেদুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ সিরাপ ড্রাগ লাইসেন্সধারী তবে এসব সিরাপ লাইসেন্সধারী ফার্মেসীতে বিক্রি করার কথা। মুদির দোকানে আর বিক্রি করা হবে না। উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল কদ্দুছ বলেন। এসব উত্তেজক হারবাল সিরাপের নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। এসব সিরাপ ¯œায়ুতে সাময়িক উত্তেজিত করে। কিন্তু বাস্তবে পাশর্^প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগীরা এটা সেবন করলে মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে। ড্রাগ সুপার মাসুদুজ্জামান খানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দিনকাল প্রতিনিধিকে জানান, এ ইউনিভার্সাল ফার্মাসিটিক্যালস (ইউনানী) নামীয় কোম্পানির উক্ত সিরাপের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।