ভোলাহাটে জেলা পরিষদ সদস্য পিয়ার জাহানের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের জমি দখলবাজী করে স্থাপনা নিমার্ণের অভিযোগ
ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি: ক্ষমতা পেতে না পেতেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড(ভোলাহাট, গোহালবাড়ী ও দলদলী ইউনিয়ন) সদস্য ও ক্ষমতাসীন দলের উপজেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ পিয়ার জাহানের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের জমি দখলবাজী করে স্থাপনা নিমার্ণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা গেছে, ২৮ ডিসেম্বর/১৬ নিবার্চনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত হতে না হতেই ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ গেট সংলগ্ন প্রানিসম্পদ বিভাগের প্রাচীরের পাশে জেলা পরিষদের গোপিনাথপুর মৌজার ৫০৫ নং দাগের ১৮১২ শতাংশ জমির মধ্যে ৩ শতাংশ জমি দখলে নিয়ে ২য় তলা ভবন তৈরীর কাজ করেছেন এ জেলা পরিষদ সদস্য দাবী । কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ৫১৫ নং দাগের রাস্তার ৩ শতাংশ জায়গাতে ভবন তৈরী হচ্ছে বলে জানা যায়। জানা গেছে, সেখানে দোকান ঘর নিমার্ণ করে অর্থ আয় করবেন। এদিকে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী সমর্থক ও সচেতনমহল নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পিয়ার জাহান ক্ষমতাসীন দলের উপজেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ ও জেলা পরিষদের সদস্য হওয়ায় দাপটের সাথে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ ও সরকারী জমি দখলে পেতে উঠেছেন। ফলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধূ তাই নয় ভোলাহাট মেডিকেল মোড়ে সরকারী জমি দখলে নিয়ে মোনালিসা হোটেল তৈরী করেছেন। জেলা পরিষদের জমি দখলবাজী করে স্থাপনাটি কি ভাবে তৈরী করছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জেলা পরিষদের আলোচনায় অফিস করার কথা উঠলে জেলা পরিষদের জমি চিহ্নিত করে অফিস করার সিদ্ধান্ত হয়। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, লিখিত ভাবে জেলা পরিষদের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও তিনি স্বীকার করেন। তবে কোন বৈধ অনুমোদন নাই এবং তার নিজ অর্থায়নে স্থাপনা নিমার্ণ করছেন বলে স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মইনুদ্দীন মন্ডল জানান, জেলা পরিষদের জমি কাউকে লীজ বা কোন প্রকার স্থাপনা নিমার্ণের অনুমোতি দেয়া হয়নি। যদি পিয়ার জাহান জেলা পরিষদের জমি দখলে নিয়ে স্থাপনা নিমার্ণ করে থাকে তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান। উল্লেখ্য পিয়ার জাহান জেলা পরিষদের যে জমিতে স্থাপনা তৈরী করছেন সেখানে ইতিপূর্বে উপজেলার জনৈক ব্যক্তি স্থাপনা নিমার্ণ করলে তৎকালীন ইউএনও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এছাড়া এ জায়গাটিতে এলজিইডি অফিসের ৯০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দিয়ে এলাকার স্বার্থে গরু জবাই কসাই খানা তৈরীর জন্য ঠিকাদার নিয়োগের কাজ সম্পন্ন হলেও এখনও কাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদার।