বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের আইনে জাতিসঙ্ঘের উদ্বেগ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক: অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক:
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সব ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে আইনের সংশোধনীতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। তার মতে, এর ফলে সমাবেশ, সংগঠন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অন্যায্য বাধানিষেধের আওতায় পড়বে। গতকাল জেনেভায় জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৯তম অধিবেশনে বিশ্ব পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
ভলকার তুর্ক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে অগ্রগতি অর্জনকে সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, আমি সংস্কার এবং সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে অর্থবহ অগ্রগতির আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের হাইকমিশনারের কার্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছানের ব্যাপারে তুর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার বলেন, সাম্প্রতিক বাণিজ্য যুদ্ধ স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে সুনামির মতো আঘাত হানবে। ক্যারাবিয় দেশসমূহ এবং ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশ, কাম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর বৃহৎ রফতানি খাতে এর প্রভাব হতে পারে ধ্বংসাত্মক। উচ্চ শুল্ক অনেকের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও পুষ্টিকর খাবার নাগালের বাইরে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, উচ্চ শুল্ক লিঙ্গ সমতার অর্জনকে ক্ষুণœ করতে পারে। এটি ম্যানুফেকচারিং খাতে কর্মরত নিম্ন আয়ের নারী কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অনেক স্বল্পোন্নত দেশে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই, যা মানুষকে অরক্ষিত করে তুলবে।
ভলকার তুর্ক বলেন, দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মানবাধিকার সুরক্ষা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন প্রয়োজন, বাণিজ্যযুদ্ধ বা অস্ত্র প্রতিযোগিতা নয়। ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে সামরিক সঙ্ঘাত বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের হাইকমিশনার।