মহিম চন্দ্র জুবিলী স্কুলে ৯২ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

আর কে আকাশ, পাবনা প্রতিনিধি:
নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ৩৩বছর পর পাবনার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মহিম চন্দ্র জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯২এর ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে স্কুলের হলরুমে কেক কাটা, স্মৃতিচারণ, প্রাক্তন শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান, আলোচনা সভা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৯২ ব্যাচের শিক্ষার্থী হেমন্ত দাস ও জিল্লুর রহমানের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় আলোচনা ও স্মৃতিচারণ করেন, প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান শিক্ষক সৈয়দ সাইফুল হক, প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হোসেন মোল্লা, সাবেক সহকারী শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন, হাফিজুর রহমান, মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, শ্রী পিনাকী রায়, মো. মজিবর রহমান, মো. আব্দুল হালিম, ৯২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. খালিদ হোসেন, খন্দকার আহসান হাবিব জুয়েল, মনোয়ার পারভেজ চপল, শরিফুল ইসলাম, মির্জা আসাদ, মোস্তাফিজুর, গোবিন্দ কর্মকার, ফারুক খান, উজ্জল, হাসিন আহমেদ, আলাল, শাহিনুর রহমান, রেজাউল করিম প্রমূখ।
স্মৃতিচারণ ও বক্তব্যকালে শিক্ষকগণ বলেন, স্কুল জীবন শেষে কেউ চাকরি জীবনে, আবার কেউ বিভিন্ন ব্যবসা বা কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হয়েছো। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আজ আবার তোমরা একত্রিত হতে পেরে খুবই গর্বিত হচ্ছো। তোমাদের দেখে আমাদেরও অনেক ভালো লাগছে।
৯২ এর ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বলেন, শিকড়ের সন্ধানে এবং নাড়ীর টানে আমরা দীর্ঘ ৩৩ বছর পর প্রাক্তন বন্ধুদের সাথে মিলিত হতে পেরে আমরা গর্বিত। সকল সদস্যদের সহযোগিতা পেলে আগামীতে আমরা আরও বড় পরিসরে পুনর্মিলনী করতে চাই।
এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান শিক্ষক সৈয়দ সাইফুল হক, প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হোসেন মোল্লা, সাবেক সহকারী শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন, হাফিজুর রহমান, মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, শ্রী পিনাকী রায়, মো. মজিবর রহমান, মো. আব্দুল হালিম, অফিস সহকারী আকরাম হোসেন ও মো. আনিসকেকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও গিফট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং ৩৩ বছর পূর্তির কেক কাটেন প্রাক্তন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলোওয়াত এবং প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
মধ্যহ্নভোজ শেষে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ প্রায় ৩৩ বছর পর স্কুল জীবনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বন্ধুরা একত্রিত হতে পেরে তাদের মধ্যে সীমাহীন আনন্দ লক্ষ্য করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *