যশোর জেলা সদরের মানিকদিহি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সহযোগীতায় সহকারী শিক্ষক নাজমুল হোসেন শ্রেণিকক্ষে কোচিং বানিজ্যে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, যাহাতে এলাকাবাসী অতিষ্ট।

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
যশোর জেলা সদর থানাধীন সাতমাইল বাজার সংলগ্ন মানিকদিহি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরে প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় ৫০% ভাগাভাগিতে সহকারী শিক্ষক নাজমুল হোসেন সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কোচিং বানিজ্য লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, যাহাতে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
সহকারী শিক্ষক নাজমুল হোসেন এর কোচিং বানিজ্য থেকে ৫০% ভাগ প্রধান শিক্ষক নিয়ে থাকেন, এমনটি ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। ৩য়, ৪র্থ এবং ৫ম শ্রেণির প্রায় ৪০/৫০ জন শিক্ষার্থীদের থেকে ৫০০/- টাকা হারে সকাল-বিকাল দুই সিফটে কোচিং বানিজ্য করে থাকে। সরজমিনে অত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় ৩১/০৫/২০২৫ ইং তারিখ সকাল ৮ টায় উপস্থিত হয়ে দেখতে পায়, সহকারী শিক্ষক নাজমুল হোসেন শ্রেণিকক্ষে প্রায় ৪০/৫০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং বানিজ্যে ন্যস্ত আছে। তাৎক্ষনিক ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। যাহা ছবিতে দৃশ্যমান।
বিষয়টি জানতে চাইলে এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক নাজমুল হোসেন ব্যক্ত করেন, প্রধান শিক্ষকের অনুমতি সাপেক্ষে কোচিং বানিজ্যটি চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধান শিক্ষককে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে, তার ভাস্য ক্ষমা করবেন, এ ধরণের ঘটনা আর কখনও হবেনা।
এলাকার বুদ্ধিজীবী এবং সচেতন মহল অত্যন্ত ক্ষুব্ধ আকারে ব্যক্ত করে, প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক নামজুল হোসেন অত্যন্ত লোভী। যে কারণে বিদ্যালয়ে কোচিং বানিজ্য নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও শ্রেণি কক্ষে প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত এমনকি ছুটির দিনেও এই কোচিং বানিজ্যটি চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও একটি নির্ভযোগ্য সূত্র ব্যক্ত করে, স্কুল শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট না পড়লে ফেল করানোর হুমকি ধামকি সহ নানা প্রকারের চাপ সৃষ্টি করে। প্রধান শিক্ষক যে সহকারী শিক্ষক নাজমুল হোসেন এর মধ্যমে ৫০% ভাগাভাগিতে কোচিং বানিজ্যটি চালাচ্ছে তা ধারণকৃত ছবিতে পরিলক্ষিত হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্য তথ্যটি প্রকাশ করা হলো। বিস্তারিত জানার জন্য আগামীতে পত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *