ইসলামপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যত অভিযোগ
সাইফুল ইসলাম ঝিনাইদহ সংবাদদাতা-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ইসলামপুর (হরিপুর) কবি ফজের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থআত্মসাৎ,দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক মন্টুর অপসারণের দাবীতে এলাকার সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। অবস্থা বেগতিক দেখে এলাকা ছেড়েছেন আলমগীর হোসেন।
জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়ম এই স্কুলের নিয়মে পরিণত হয়েছে। এখানকার অভিভাবক সদস্য এবং দাতা সদস্যরাও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। তারাও প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবীতে আন্দোলনে নেমেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ এপ্রিল স্কুলের দাতা সদস্য এমদাদুর রহমান ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলা হয় প্রধান শিক্ষক নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য একটি কুচক্রি মহলের সাথে ষঢ়যন্ত্র করে বিদ্যালয়ে একটি এডহক কমিটি গঠন করেন। এই কমিটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তিনি বিদ্যালয়ের অর্থ লুটপাটে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীদের হুমকী-ধমকী দিয়ে নিজের পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করছেন। তিনি এর আগের নিয়মিত কমিটির সাথে যোগসাজস করে বিদ্যালয় ফান্ড থেকে ৯৮ হাজার টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেন। লিখিত অভিযোগে স্কুল ফান্ড থেকে আরো প্রায় ৩ লক্ষ টাকা তুলে নেয়ার পায়তারা করছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়াও ঐ অভিযোগ পত্রে প্রধান শিক্ষকের জাল-জালিয়াতি করে পাশ করানো এডহক কমিটি বাতিলের দাবী জানানো হয়।
এদিকে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাটি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জানকে দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব পেয়ে তিনি সরেজমিন স্কুল মাঠে পৌছালে এলাকাবাসির তোপের মুখে কোন তদন্ত ছাড়াই ফিরে আসতে বাধ্য হন। এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাউকে না জানিয়ে গোপনে এডহক কমিটি করেছেন,অর্থআত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। এলাকাবাসীর চাপের মুখে তিনি স্কুলে টিকতে পারবেন কি-না তা বলা মুশকিল। দাতা সদস্য এমদাদুর বলেন, দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক এ পর্যন্ত যত টাকা লুটপাট করেছেন তা বৈধ করতে নিজের ভাইকে সভাপতি করেছেন। তিনি কিছু নিয়োগ পায়তারা করছেন। আমরা তার অপসারণ চাই। এলাকাবাসীর তোপের মুখে প্রধান শিক্ষক মন্টু স্কুল থেকে গা ঢাকা দিয়ে আছেন। তাকে কোন অবস্থাতেই স্কুলে আসতে দেয়া হবে না। তিনি ন্যায় বিচারের দাবীতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। এদিকে প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতিকান্ডে স্কুলের পাঠদান সহ যাবতীয় কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে ফেরৎ যাচ্ছে। এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে,যে কোন সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।