সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রীকে ‘ধর্ষণের হুমকির’ অভিযোগ
সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেট জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের হুমকি ও যৌনহয়রানির অভিযোগ করেছেন একই কমিটির যুগ্ম-সংগঠক সুমাইয়া আক্তার। বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুমাইয়া আক্তার বলেন, পুলিশ সাধারণ ডায়েরি হিসেবে গ্রহণ করেছে। আগামী সোমবার তিনি আদালতে মামলা দিবেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা কমিটির একজন যুগ্ম সংগঠক ও ফান্ড সেলের ৫ সদস্যের একজন।
গত ৬ মে ফান্ড সেল সম্পাদক সালমান আহমদ খুরশেদের নিকট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফান্ডের যাবতীয় জমা ও খরচের হিসাব চান সুমাইয়া। কিন্তু সালমান হিসাব দেওয়ার পরিবর্তে ফখরুল হাসান সৌরভসহ নুরুলের সহযোগিরা সুমাইয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরদিন সালমান হোয়াটসঅ্যাপে একটি গড়মিলের হিসাব দিলে আমি এতে সন্তুষ্ট নই বলে জানাই। এ কথা বলতেই সালমান ও নুরুল এবং তাদের সহযোগিরা সুমাইয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনকি ধর্ষণের হুমকি পর্যন্ত দেন এবং হোয়াটসঅ্যাপে যৌন-হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলতে থাকেন। এসবের স্ক্রিনশর্ট বা প্রমাণ সুমাইয়ার কাছে রয়েছে।
তবে অভিযোগ মিথ্যা বলে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন সিলেট জেলা কমিটির সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম। ধর্ষণের হুমকি ও যৌন-হেনস্তার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন এসব মিথ্যা। পুলিশি তদন্তে সত্যটা বেরিয়ে আসবে নিশ্চয়ই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট কোতোয়ালী থানার ওসি মো: জিয়াউল হক শুক্রবার সকালে সাধারণ ডায়েরির সত্যতা স্বীকার করে বলেন- এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটির দ্বন্দ্ব এবার চরমে পৌঁছেছে। একপক্ষ বুধবার (৮ মে) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব নুরুল ইসলামকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে।
বুধবার বিকালে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈছাআ জেলা কমিটির আহ্বায়ক (একাংশের বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে) আকতার হোসেন বলেন তার কমিটির সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম তাকে আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান মর্মে একটি ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। অথচ এমন বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার এখতিয়ার তার নেই। কাজটি সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী। এটি হিংসাত্মকভাবে করেছেন নুরুল। তার এই ভুয়া বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন সিলেট জেলা কমিটির ২৭২ জন সদস্যের মধ্যে ২৫৪ জন সদস্যই অবগত নন। ফলে বিজ্ঞপ্তিটি তারা প্রত্যাখ্যা করেছে। লিখিত ব্ক্তব্যে আকতার আরও বলেন যদি কোনো কারণে অব্যাহতি দিতেই হয় তাহলে এটা সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় কমিটির এখতিয়ার। কিন্তু কেন্দ্র থেকে এমন সিদ্ধান্ত আসেনি। তার এমন অসাংগঠনিক কাজের জন্য আমরা তাকে সিলেটে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো ।