মতলব জে.বি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গার গাছ কর্তন।

মোঃ খোরশেদ (মতলব) চাঁদপুর :সাম্প্রতিক সময়ে মতলব জে. বি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন জায়গার বিভিন্ন ফলদ গাছ কর্তন এবং স্কুলের মালিকানাধীন ভূমিতে পূর্বে স্থাপিত কয়েকটি দোকানের কিছু অংশ ভেঙে প্রবেশদ্বার তৈরি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

উল্লেখ্য যে, বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন যে জমিতে ফলদ গাছগুলো ছিল সেটি কলাদী মৌজার বিএস ১৫৬৩ নং দাগের ভূমি। যা বিএস ১৪ খতিয়ানে স্কুলের মালিকানাধীন।

শতবর্ষি বিদ্যালয়টি সরকারীকরণের আগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি স্কুলের নামে দানকৃত ভূমিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে ইজারা প্রদান করেছে। যার বিপরীতে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রতিমাসে ভূমির ভাড়া বাবদ অর্থ আদায় করে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, স্কুলের জায়গা ইজারা নিয়ে যারা দোকান নির্মাণ করেছেন, তারা কী ইজারা গ্রহণের সময় শর্তাবলী সঠিকভাবে মেনে চলছেন?

স্কুল কর্তৃপক্ষ ভূমি ইজারা দিয়ে যেটুকু অর্থ আদায় করে, তার চেয়ে বহুগুণ আয় করছে ইজারা গ্রহীতাগণ। স্কুলের রেজিস্টার খাতায় ইজারাদার হিসেবে যাদের নাম রয়েছে তাদের পরিবর্তে বর্তমান (অধিকাংশ) মালিকরা কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে ইজারাকৃত ভূমির পজিশন নিয়েছেন মূল ইজারাদারদের কাছ থেকে।

এখন আসি সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গে। যেহেতু স্কুলটি সরকারীকরণ হয়েছে, তাই পদাধিকারে স্কুলের সভাপতি হলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। স্কুলের ভূমি ইজারা দিয়ে সরকারি রাজস্ব আদায়ের বিষয়টি দোষের কিছু নয়; অথবা স্কুলের মালিকানাধীন জায়গার এতগুলো গাছ কর্তন করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অনুমোদন থাকলে সেটাও কোনো দোষের নয়।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যিনি ১৯৯৪ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং (জানা মতে) একমাস পরেই অবসর উত্তর ছুটি পিআরএল এ যাবেন। তিনি কেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়াই এতগুলো গাছ কর্তন করার (মৌখিক) নির্দেশ দিলেন? স্কুলের ভূমি ইজারা নিয়ে যারা দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন তাদের কেন দোকান ভাঙতে বললেন (মৌখিক)?

চাকুরী জীবনের শেষ সময় এসে সার্ভিস বুকে কালো দাগ পড়ুক এটা কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কখনোই চাইবে না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তার ভুল স্বীকার করেছেন । অপর দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের সভাপতি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

তদন্ত কমিটির আহবায়ক হলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাবেদ হোসেন চৌধুরী। যিনি গাছ কাটার সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছেন এবং প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ভুল স্বীকার, অপরদিকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন। তদন্ত প্রতিবেদন কি হতে পারে সেটা মতলববাসী খুব সহজেই অনুমান করছে। অপরদিকে একজন শিক্ষক যিনি কর্মজীবনে শিক্ষকতা করে অবসরকালীন সময়ে এসে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *