মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহণ,সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি শিশুটির মায়ের
মাগুরা প্রতিনিধি :
মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
এ সময় আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী শিশু আছিয়ার মা আয়েশা খাতুন, প্রতিবেশী জলি খাতুন ও শিশুকে বহনকারী ভ্যানচালক রুবেল হোসেন।
তবে মাগুরা লিগ্যাল এইডের পক্ষ থেকে আইনজীবী সোহেল আহম্মেদকে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেতে দেখা যায়। এত দিন আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।এ মামলার পরবর্তীতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য গতকাল সোমবার ধার্য করা হয়। এবং তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয় এছাড়া আদালত সুত্রে জানাগেছে আগমী মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সংগ্রামী সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম নয়নসহ ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহনের তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে।
গত ২৩ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মাগুরার আলোচিত আছিয়া হত্যা মামলার আজ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আদালতে সাক্ষীদের তলব করা হয়েছিলরবিবার ও সোমবার বাদীসহ ছয়জন সাক্ষীর আদালতে সাক্ষ্য করা হয়।
এই আইনজীবী আরও বলেন, আসামিদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে। তাদের আইনজীবী আজকের সাক্ষীদেরকে জেরা করেছেন। বিচারক স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরা শোনেন।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
অন্যদিকে সাক্ষ্য শেষে শিশুটির মা ও মামলার বাদী বলেন,আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। তাঁদের জন্য আমার পরিবার শেষ হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের ওই শিশুটি। এ সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।জানাজার পর উত্তেজিত জনতা শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়