বজ্রঘাতে মৃত্যু ৫ জেলায় ১০ জনের
সেখ রাসেল, সহকারী দপ্তর সম্পাদক, অনলাইন ডেস্ক:
বজ্রঘাতে কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত।
কুমিল্লার ২ উপজেলায় বজ্রাঘাতে ২ স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে মুরাদনগরে ও দুপুরের দিকে বরুড়ায়। নিহতরা হলেন, উপজেলার দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া (৩৫) ও কোরবানপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া (কালীবাড়ি) এলাকার মৃত বীরচরন দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬০), খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং একই এলাকার আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন।
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে বজ্রাঘাতে নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের হালালপুর গ্রামের মৃত যতিন্দ্র দাসের ছেলে ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০), খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (১৪) এবং মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের রানীগঞ্জ গ্রামের মৃত আশ্রব আলীর স্ত্রী ফুলেছা বেগম।
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচংয়ের হাওরে বজ্রাঘাতে ১ জন কৃষক এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকালে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আড়িয়ামুগুর গ্রামের কালবাসী দাসশর ছেলে দূর্বাসা দাশ (৩৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নেত্রকোনার মদন উপজেলায় মাদরাসায় যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ১ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামে মৃত আরাফাত মিয়া (৯) তিয়শ্রী গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে এবং স্থানীয় বাইতুল জান্নাত হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিল।
সুনামগঞ্জ শাল্লা উপজেলায় হাওরে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর সময় বজ্রপাতে কলেজছাত্র মারা গেছেন। উপজেলার আটগাঁও গ্রামের কালিকোটা হাওরে মৃত রিমন তালুকদার আটগাঁও গ্রামের জাহেদ তালুকদারের ছেলে ও শাল্লা ডিগ্রি কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র।
ওসি শফিকুল বলেন, বাড়ির পাশে কালিকোটা হাওরে নিজের চারটি গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন রিমন। এ সময় তীব্র ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। সেখান থেকে ফেরার পথে বজ্রপাতে রিমনসহ তার একটি গরুও মারা যায়। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।