মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার্জ গঠন

বিকাশ বাছাড়,মাগুরা প্রতিনিধি :
মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত।

বুধবার (২৩ এপ্রিল)নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ চার্জ গঠন করেন এছাড়া তিনি ২৭ এপ্রিল এ মামলার ৩ জন সাক্ষীদের প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ হবে বলে ঘোষণা করেন।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজার (অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদার সুবিধাদিপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজীসহ
পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল,জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহেদ হাসান টগর,
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি রুকুনুজ্জামান খান,
এম এ রশিদ,কুমুদ রঞ্জন বিশ্বাস,মিজানুর রহমান।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার সকালে আদালতে আসামি হিটু শেখসহ বাকি তিন আসামিকে হাজির করে পুলিশ। তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।আগামী ২৭ এপ্রিল এ মামলার ৩ জন সাক্ষীর প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।

এর আগে ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন রাত সাড়ে ৯টার পরে জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ধর্ষণের ঘটনাটি সকালে ঘটেছে। মৃত শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/২ ধারায় ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখের বিরুদ্ধে খুন, জখম, ও ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং বোনের শাশুড়ি হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগমের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন ও অপরাধের আলামত নষ্টের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের ওই শিশুটি। এ সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *