মহানবী(সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তি করলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক এলাকায় উত্তেজনা
সাইফুল ইসলাম ঝিনাইদহ সংবাদদাতা-
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদীস বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক নামের এক যুবক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি ও গালি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মোজাম্মেল হক ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৩ং নাম্বার তাহের হুদা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ধুলিয়া পূর্ব পাড়া গ্রামের এনায়েতুল্লাহ ফারাজির মেজো ছেলে।
অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক গত সোমবার রাতে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি ও আপত্তিকর বেশ কয়েকটি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তার ওই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে এতে সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এর পূর্বেও একই ভাবে কটুক্তি করলেও ততকালীন ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পেত না। এ বিষয়টি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ার একপর্যায়ে এলাকার সাধারণ জনতা তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। হরিনাকুন্ডু থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধীদের মধ্যস্থতায় পরবর্তীতে সে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেও তার শাস্তির দাবীতে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী । এতে করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর দাবি তাকে খুব দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির পাশাপাশি তাকে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরি চূত করার দাবিও জানান তারা। এবিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হককে ০১৯২৩৪৫৯৫৭৭ এই নাম্বারে কয়েকবার ফোন দিলেও রিসিভ হয়নি। এবিষয়ে তাহের হুদা ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি রুশ মেম্বারের কাছে এই ০১৭১২২৭৮৬৯৮ নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা যায় নি। ফোন নাম্বার টি বন্ধ ছিল।
হরিনাকুন্ডু উপজেলা আমীর বাবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন – ঘটনাটি শুনেছি। যদি সত্য হয় তাহলে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ তিনি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন প্রশাসনের নিকট। এবিষয়ে হরিনাকুন্ডু থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, আজহারী সাহেব একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন তিন চার দিন পূর্বে এই বক্তব্য নিয়ে সে আলোচনা করছিলেন। তার জন্য এলাকার লোকজন তাকে কিছু চড়-থাপ্পর মেরেছিলেন। এবিষয়ে যদি কেউ থানায় অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো। পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় সে মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়া হয় এবিষয়ে তিনি বলেন, মুচলেকা নয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা থেকে এটা মিমাংসা করেছেন। এমন কোন তথ্য থাকলে আমাকে দিতে পারেন। এবিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডি বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব আক্তার হোসেন বলেন, এ ঘটনা তার নিজের এলাকায় ঘটেছে। আমরা ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক যে যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার আমরা নিয়েছি। কর্তৃপক্ষকে আমরা জানিয়েছি।