গরুর হাটের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : আহত ১১

সেখ রাসেল, ব্যুরো চিফ, খুলনা
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারে হাট ইজারা নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দুই গ্র“পের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চুকনগর গরুরহাট ও ইউপি পরিষদ কার্যালয়ে দফায় দফায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। তারই জের নিয়ে ঘটনারদিন আকষ্মিকভাবে গরুর হাটের ইজারা তুলতে যায় সরদার দৌলত হোসেন ও তার অনুসারীরা। এদিন প্রায় অর্ধশত লোকজন নিয়ে গরুর হাটের পাশ ঘরের বেড়া ও কিছু আসবাসপত্র ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। স্থানীয়রা জানান, হামলার একপক্ষের নেতৃত্ব দিয়েছেন আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শেখ হেলাল উদ্দিন এবং আরেক পক্ষের নেতৃত্ব দিয়েছেন ওই ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৌলত সরদার। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পহেলা বৈশাখ চুকনগর বাজারের হাটের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর বাজার ও স্থানীয় মসজিদ কমিটি মিলে কয়েক সপ্তাহ ইজারা তোলার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। যে টাকা উঠবে সেই টাকা অনুযায়ী আবার হাট ইজারা দেওয়া হবে। ইজারা নেবে বাজার মসজিদ কমিটি। কিন্তু গত মঙ্গলবার আটলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৌলত সরদার তাঁর লোকজন দিয়ে হাটের ইজারা তুলে নেন। শুক্রবার আবারও ইজারা তুলতে গেলে বাঁধা দেন হেলাল উদ্দিনের লোকজন। এটা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে দফায় দফায় ওই সংঘর্ষ চলে।

দৌলত সরদার বলেন, হাটের ইজারার সব টাকা মসজিদ উন্নয়নের দেয়ার কথা। কিন্তু চেয়ারম্যান সেটা দিচ্ছে না। মসজিদের নামে হাট ইজারা নিয়ে মূলত লাভবান হতে চাইছেন হেলাল চেয়ারম্যান। তিনি এমনভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছেন যাতে এক বছরে অন্তত ১৫ লাখ টাকা নিজের পকেটে রাখতে পারেন। মূলত সেজন্যই আজ (গতকাল শুক্রবার) ইজারা তুলতে গিয়েছিল তাঁর লোকজন। কিন্তু হেলাল চেয়ারম্যানের লোকজন বাঁধা দিয়ে মারধর করে তাঁদের সেখান থেকে বের করে দিয়েছেন। পরে তাঁদের ওপর কয়েক দফা হামলা করা হয়েছে।
ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাসুদ রানা বলেন, হাটের ইজারা উঠানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছেন তিনি, তবে বিকেল পযন্ত কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে থানা পুলিশসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *