অনলাইন জুয়ার বিস্তার রোধে হাইকোর্টে রিট ও খুলনার বটিয়াঘাটায় বিভিন্ন জায়গায় এ ব্যবসার সাথে জড়িত
সেখ রাসেল, সহকারী দপ্তর সম্পাদক, অনলাইন ডেস্ক:
অনলাইন জুয়া, বেটিং গেম বা ক্যাসিনো ব্যবসায় ছেয়ে গেছে খুলনার দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলার বিভিন্ন আনাচে কানাচে। বর্তমানে শুধুমাত্র পুরুষ স্টুডেন্টরাই নয় এ পথে উপার্জনের চেষ্টায় আছে অনেক নারী ও শিক্ষার্থীরা। এই পরিশ্রম বিহীন উপার্জন করতে গিয়ে খোয়া যাচ্ছে বিপুর পরিমাণ অর্থ। হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু এ্যাপসের ব্যবসায়ীরা। বটিয়াঘাটার সবচাইতে এ প্রবণতা রয়েছে ৬ নং বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে ও ৩ নং গঙ্গরামপুর ইউনিয়নের কাতিয়ানাংলা বাজার ঘিরে। থানা পুলিশ, আর্মি ও বিভিন্ন গোয়েন্দো সংস্থা তাদেরকে সনাক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারণ কলজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা, নারী পুরুষ রাস্তা বা ফাকা জায়গায় না বসে তাদের নিজ গৃহে এধরণের ব্যবসা ও নেশার সাথে জড়িত। অর্থ খুইয়ে এক পর্যায়ে ঢলে পড়ছে নেশার জগতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি এ কথা বলতে বলতে মুখ ফুসকে বলে ফেললেন খুলনার বটিয়াঘাটার বালিয়াডাঙ্গা ফুলবাড়ী এসব এলাকার ক্যাসিনো সম্রাট রাব্বী, তার ভাইয়েরা সহ আরও অনেকে এ ব্যবসায় কামিয়েছে কোটি কোটি টাকা। তাদের কেউ কেউ এ অর্থ দিয়ে বিভিন্ন শহরে বাড়ী, ফ্ল্যাট, স্বর্নের ব্যবসা, জমির ব্যবসা করছেন। তাদের এ ধান্দাবাজ ব্যবসায়ের কবলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার জীবন ছেড়ে ঝুকে পড়ছে এ ধরণের ক্যাসিনো ও অনলাইন জুয়ায়।
#### এ নিয়ে গতকাল ১৭/০৪/২০২৫ অনলাইন জুয়া বা বেটিং গেমের বিস্তার রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রাজধানীর দনিয়া এলাকার বাসিন্দা তানজিম রিয়াদের পক্ষে গতকাল বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান রিটটি করেন। রিটে ‘অনলাইনে জুয়ার প্রচারণায় তারকারা’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।
রিটে অনলাইন জুয়া/বেটিং গেমের বিস্তার রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও সামাজিক মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোতে জনপ্রিয় সেলিব্রেটিদের অনলাইনে জুয়া/বেটিং গেমের বিস্তার রোধ এবং অনলাইনে বিজ্ঞাপন প্রচার রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক আইজিপিসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।###