খুলনার ফুলতলায় ইউপি চেয়ারমান ফারুক মোল্লা হত্যার পর ৩ সপ্তা পর আদালতে মামলা।
বিভাগীয় প্রতিনিধি খুলনা
এম এ জলিল
খুলনার ফুলতলায় ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ফারুক মোল্যা হত্যার তিন সপ্তাহ পর ১১ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহারভুক্ত করার নিদের্শনা দিয়েছেন।
থানা পুলিশের গড়িমিশির কারণে দেরিতে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহত ফারুক হোসেন মোল্যার স্ত্রী মাহাফুজা বেগম।
আদালতে দায়েরকৃত মামলায় ফুলতলার দক্ষিণডিহি গ্রামের
১। আলাউদ্দিনের পুত্র শুভ (২২),
২।আব্দুর রহমানের পুত্র গিয়াস উদ্দিন (৪১), ৩।মধ্যগ্রামের মৃতঃ মুনছুর গাজীর পুত্র রসুল গাজী (২৮)
৪।বুড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামের রমজানের পুত্র শাহজাহান (৪০)
৫।মধ্যডাঙ্গা গ্রামের গনি সিকদারের পুত্র ফারুক সিকদার (২৮)
৬। বুডিয়ারডাঙ্গা গ্রামের মৃতঃ মোহাম্মদ আলীর পুত্র মনির (২৭)
৭। পয়গ্রাম কসবা গ্রামের কালাম মোল্যার পুত্র আসলাম মোল্যা (২৯)
৮। দক্ষিণডিহি গ্রামের ওহাব মোল্যার পুত্র রহিম (৩৮)
৯। বুড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামের শহিদুলের পুত্র মোস্তফা শেখ (২৫)
১০। নুয়াদালী গ্রামের ছোট্ট এর পুত্র দাই আকরাম (৫১)
১১।নাউদাড়ি গ্রামের মৃতঃ ইয়াছিন সরদারের পুত্র মোমিন সরদার (৫৫) এর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬/৭ জনকে মামলার আসামী করা হয়।
ফারুক হোসেন মোল্যা (৫২) ফুলতলা সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান থাকায় আসামীরা বিভিন্ন সময়ে তার সাথে বিরোধ করে আসছিল। ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৯ মার্চ ২০২৫ আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টায় আসামীরা মোবাইল করে ফারুক মোল্যাকে ইউনিয়ন পরিষদের ডেকে নেয়। পরবর্তীতে ফুলতলা ইউনিয়নের মধ্যডাঙ্গা গ্রামস্থ সনুরগেট এলাকায় শালিশ বৈঠকের কথা বলে সেখানে ডাকে। ঘটনাস্থলে পৌছানোর সময় উল্লেখিত আসামীসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জন আসামী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাকে ঘিরে ধরে। এক নম্বর আসামী শুভ হাতুড়ি দিয়ে তার মাথার পিছনে সজোরে আঘাত করলে মাথার পিছনের খুলি ভেঙে মারাত্মক জখম হয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। দুই নম্বর আসামী গিয়াস লোহার হাতুড়ি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ফারুক মোল্যার বাম কাঁধের উপর আঘাত করতে থাকে। অন্য আসামীরা তাদের হাতে থাকা লোহার রড় দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত করে। ৯ ও ১০ নম্বর আসামী ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ফারুক মোল্যার ডান হাতের কনুইসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ১১ নম্বর আসামীসহ সকল আসামীরাই তার মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে যায়।