শেরপুরের নকলায় চাচার সাথে অভিমানে ফাসিঁতে ঝুলে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু
জাহাঙ্গীর হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নকলায় চাচার সাথে অভিমান করে ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যু হয়েছে সাজ্জাদ নামে ১১বছর বয়সি এক স্কুল শিক্ষার্থীর।
১২ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাতে নকলা পৌরশহরের জালালপুর মহল্লায় ওই ঘটনা ঘটে। সাজ্জাদ স্থানীয় সৌদি প্রবাসী রমজান আলীর ছেলে। সে জালালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান খবর পেয়ে রাতেই সাজ্জাদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এব্যাপারে নকলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মুত্যুর সঠিক কারণ জানতে সাজ্জাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায় জীবিকার তাগিদে সাজ্জাদের বাবা রমজান ৬ মাস ধরে সৌদি প্রবাসী। ২ সন্তান সাজ্জাদ (১১) ও শামীমকে (৪) কে নিয়ে সাজ্জাদের মা স্বামীর বাড়ীতেই বসবাস করেন। ১২ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় সাজ্জাদ কোথা থেকে একটি হেডফোন নিয়ে এসে বিক্রি করতে জালালপুর ম্যানেজার মার্কেটে নিয়ে যায়। বিষয়টি সাজ্জাদের চাচা অটোরিকশাচালক সাদেক আলী (৩০) দেখতে পেয়ে তিনি সাজ্জাদকে বাড়ি নিয়ে এসে চড়থাপ্পর দিয়ে ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে মানা করেন। এতে চাচার উপর প্রচন্ড ক্ষোভ ও অভিমান হয় সাজ্জাদের। সেই ক্ষোভ আর অভিমানে রাত সাড়ে ৭টার দিকে সাজ্জাদের মা রান্নার কাজে ব্যাস্ত থাকায় সাজ্জাদ বসতঘরের দরজা আটকিয়ে ফ্যানের সাথে রশি বেঁধে ফাঁসিতে ঝুলে। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে সাজ্জাদকে দ্রুত নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোণা করেন