‘ওয়াকফ’ আইন নিয়ে উত্তাল মুর্শিদাবাদ, গ্রেপ্তার ১১০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন পাশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল ভারত। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার ১১০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর আগে, শুক্রবার নতুন ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ভ্যানসহ একাধিক যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া নিরাপত্তা কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পাশাপাশি রাস্তাঘাট ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুর্শিদাবাদে কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালেও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সুতিতে অশান্তি চলাকালীন পুলিশের গুলিতে আহত এক কিশোরকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সুতি এবং সামসেরগঞ্জ এলাকায় টহল বাড়িয়েছে পুলিশ। সুতিতে ৭০ জন এবং সামসেরগঞ্জে ৪১ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানা গেছে। পুনরায় বিক্ষোভকারীদের জড়ো হতে বাধা দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া জনগণকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবে কান না দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া শুক্রবারের সহিংসতার সাথে জড়িতদের ধরতে জেলাগুলোতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে সহিংসতা দমনে মমতা সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছে বিজেপি। সহিংসতা দমনে মমতার প্রশাসন ব্যর্থ এমন অভিযোগ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা নেয়া উচিত বলে মনে করছে দলটি।
বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী এক এক্স বার্তায় এ ঘটনাকে একটি পূর্বপরিকল্পিত সহিংসতা, গণতন্ত্র ও শাসনব্যবস্থার ওপর আক্রমণ হিসেবে উল্লেখ করেন। জনসাধারণের সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তারা হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন- এমন দাবি করে মমতা সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এছাড়া বার্তায় সহিংসতায় জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তারও কঠোরতম শাস্তির মুখোমুখি করার দাবি জানান তিনি।