ওসি’ অপসারণের দাবীতে বেদে সম্প্রদায়দের মহাসড়ক ও থানা অবরুদ্ধ
সাইফুল ইসলাম ঝিনাইদহ সংবাদদাতা-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশীপুর বেদে পল্লীতে নির্মমভাবে নিহত যুবক আবু তালেব (২৫)-এর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের অপসারণের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো এলাকা। রবিবার সকালে শতাধিক বেদে নারী-পুরুষ কালীগঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
বিক্ষুব্ধ জনতা ওসি’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে থানার চত্বরে অবস্থান নেন এবং দাবি তুলেন, ঘটনার প্রকৃত আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের অভিযোগ, ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে মূল অপরাধীদের আড়াল করার অপচেষ্টা চলছে।
ঘণ্টাব্যাপী চলা উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থানে পুলিশ সদস্যরা বারংবার অনুরোধ ও কৌশল প্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের থানা প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হন। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা স্থান পরিবর্তন করে নিমতলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “ঘটনার পরপরই আমরা মূল অভিযুক্ত রুবেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছি। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে যদি অন্য কেউ জড়িত থাকে, তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
উল্লেখ্য গত ২ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে কাশীপুর গ্রামের আবু তালেবের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে খোঁজ করেন একই গ্রামের রুবেল হোসেন। তালেব বাড়ি থেকে বের হতেই রুবেল লোহার রড দিয়ে তাঁর বুকে সজোরে আঘাত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত রুবেল হোসেনকে পুলিশ আটক করে।
নিহত আবু তালেবের পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি, হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকলেও এখনো পর্যন্ত কেবল একজনকেই গ্রেপ্তার করে দায়সারা ভাব প্রকাশ করা হচ্ছে।
সাইফুল ইসলাম