ঈদ-উল-ফিতরের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন জুয়া বা ক্যাসিনো ব্যবসায় হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা, সামনে আসছে আইপিএল এর সুযোগ।
সেখ রাসেল, ব্যুরো চিফ, খুলনা।
খুলনার দাকোপ বটিয়াঘাটায় ঈদ-উল-ফিতরের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে, লক্ষ লক্ষ টাকা। অনলাইন জুয়া বা ক্যসিনো ব্যবসায় ঈদে দেওয়া হয়েছিল আকষর্নিয় অফার। তারই লোভে পড়েছে অধিকাংশ শিক্ষত যুবক যুবতীসহ নানা শ্রেণির মানুষেরা জড়িয়ে পড়ছেন এধরনের জুয়ায়।
নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক, একজন মধ্য বয়স্ক ব্যক্তির ভাষ্য, তার পুত্র ……… কলেজে পড়ে, সে ৩০,০০০/- টাকা ইনভেস্ট করে মাত্র ৯/১০ দিনের ব্যবধানে অনলাইন থেকে পেয়েছে, ১১,২২৫/- টাকা, বাদ বাকি টাকা গুলো আর তুলতে পারেনি। এরকম অনেকেই বিনা পরিশ্রমে অর্থ ইনকামের আশায় সর্বশান্ত হচ্ছে। বাকি টাকা তুলতে না পেরে অনেকেশ হয়েছে হচ্ছে নেশাগ্রস্ত। এক পর্যায়ে ধ্বংস হচ্ছে, পরিবার, সমাজ। ইতোমধ্যে ঈদের পূর্বে যারা সবেমাত্র শুরু করেছে এরকম কয়েকজনকে ধরে ছিলো বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
এরপর থেকে কেমন যেন ঘুমিয়ে গেছে প্রশাসন, ঘুমিয়ে রয়েছে দুদক। যাদের একসময় কিছুই ছিলো না। তারা এই ধরনের অনলাইন জুয়ার অ্যাপ তৈরি করে, মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে, কোটি কোটি টাকা। সেই টাকায় কেউ কেউ বিভিন্ন শহরে কিনেছে নামি দামি বাড়ী, ফ্ল্যাট। আবার কেউ করছে স্বর্ণের ব্যবসা, জমিজমা ও হুন্ডির ব্যবসা।
এই অ্যাপের মালিকরা এতটাই প্রভাবশালী যে, সাধারণ কোন প্রশাসনকে এরা তোয়াক্কায় করে না। এদের সাথে রয়েছে প্রভাবশালী আইনের কর্মকর্তা, দুদক সহ নানা শ্রেণির বড় বড় মাপের অফিসাররা। দুদক যদি এদেরকে না থামাতে পারে তাহলে ধ্বংস হবে যুব তথা নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। এক ভয়ালগ্রাস আস্তে আস্তে বাংলাদেশ সমাজকে করছে ধ্বংস।