খুলনায় অপরাধের হটস্পট: হোটেল সবুজ বাংলা ও এর অন্ধকার জগৎ

বিভাগীয় প্রতিনিধি খুলনা।
এম এ জলিল
খুলনা শহর, যা একসময় শান্তিপূর্ণ জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত ছিল, বর্তমানে ভয়াবহ অপরাধ প্রবণতার শিকার। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই চোখে পড়ে হত্যাকাণ্ড, মাদক ব্যবসা, দেহ ব্যবসা, চাঁদাবাজি সহ নানা অপরাধের খবর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বারবার ব্যর্থ হচ্ছে, আর অপরাধীরা আরও সংগঠিত হচ্ছে।

খুলনার এই অপরাধজালের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হলো হোটেল সবুজ বাংলা, যা অবস্থিত ডাকবাংলা মোড়ের জনতা ব্যাংকের বিপরীতে। এটি একসময় তৎকালীন যুবলীগ নেতা বুরুজ সাহেবের নিয়ন্ত্রণে ছিল, আর বর্তমানে এটি পরিচালনা করছে তার স্ত্রী ও ভাগ্নেরা—সজীব হাসান সাথী ও সবুজ আহমেদ। অভিযোগ রয়েছে, শেখ পরিবারের কিছু প্রভাবশালী সদস্য ও খুলনার বিতর্কিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের ছত্রছায়ায় এই হোটেলটি বেপরোয়া অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

হোটেল সবুজ বাংলায় সংঘটিত অপরাধসমূহ:
✔ অবাধে দেহ ব্যবসা: গোপন চেম্বারে দেহ ব্যবসা চলে, যেখানে ব্ল্যাকমেইলিং করে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হয়।
✔ মাদক ব্যবসা: সন্ধ্যার পর এখানে ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন এর পাইকারি কেনাবেচা চলে, যা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়।
✔ অস্ত্র ও গ্যাংস্টারদের আড্ডা: খুলনার বড় বড় অপরাধীরা এখানে বসে ডাকাতি, খুন, চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মের পরিকল্পনা করে।
✔ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র: সাম্প্রতিক সময়ে পতিত স্বৈরাচারী সরকারের কিছু চক্র এখানে গোপন বৈঠক করছে, যেখানে শেখ হাসিনাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও খুলনার পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত হচ্ছে।
✔ ব্ল্যাকমেইলিং: সহজ-সরল কেউ ভুলে ঢুকে পড়লে তার ছবি তুলে রেখে পরবর্তীতে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়।
✔ প্রশাসনের নীরব সমর্থন: প্রশাসনের কিছু অসাধু সদস্য মাসোহারার বিনিময়ে চুপ করে থাকে, ফলে অপরাধ আরও বাড়ছে।

সমাধান কী?
✔ হোটেল সবুজ বাংলা সহ এ ধরনের অপরাধকেন্দ্রের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো।
✔ প্রশাসনের দুর্নীতি বন্ধ করে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা।
✔ অবৈধ মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা।
✔ সাংবাদিক ও সচেতন নাগরিকদের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য প্রকাশ করা।
🍁 আরো জানতে পারলাম সাংবাদিক ও প্রশাসনের বিভিন্ন সময় রেড এর কারনে হোটেলটির সামনে থেকে কেচি গেট তালা মেরে পিছন থেকে টিনের চাল দিয়ে গোপনীয় পথ ব্যবহার করে যত প্রকার অনৈতিক কাজ আছে সবই দেদারছে করে যাচ্ছে। অথচ হোটেল টির সামনে গেলে দেখা যায় গেট তালা মারা হোটেলটি বন্ধ দেখা যায়।
🍁 সোসাল মিডিয়ায় এই হোটেল সম্বন্ধে অনু সন্ধানি কিছু লিখলে এই হোটেলটির অনৈতিক ব্যবসার সাথে জড়িত মেয়েরা পযন্ত লেখা লেখি করে প্রতিবাদ জানায়।সাংবাদিককে হুমকি প্রদান করে।
খুলনায় যদি সত্যিকার অর্থে অপরাধ কমাতে হয়, তাহলে এই হোটেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। খুলনার সাধারণ জনগণ কি চুপ করে থাকবে, নাকি প্রশাসনকে বাধ্য করবে সত্যিকারের পদক্ষেপ নিতে?
🍁 মুসলিম ভাই ও বৈষম্যবিরোধি সমন্বয়ক ছাত্র তথা সমাজের বিবেকবান মানুষদের এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *