ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না এলজিইডি প্রকৌশলী আহসান হাবিব
সেখ রাসেল, সহকারী দপ্তর সম্পাদক, অনলাইন ডেস্ক:
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার ৩ নং কোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ তার ইউনিয়নের হাট বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করতে গেলে ২০% টাকা ঘুষ দাবি করেন এলজিইডি’র প্রকৌশলী আহসান হাবিব । ঘুষের ১০% অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা নগদ দিয়ে তারপর কাজ শুরু করতে হয়েছিল। ৮ নং মালিয়াট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল খাঁ এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করে বলেন, আমার ইউনিয়নে হাট বাজার প্রকল্পের কাজের জন্য ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন তিনি।আমি ঘুষ দিয়ে কাজ করবো না বিধায় উনি হাট বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের কাগজপত্র স্বাক্ষর করেননি। যে কারণে আমার ইউনিয়নে আজও কাজ শুরু হয়নি।তার বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা এবং সমন্বয় সভায় একাধিক বার বলার পরও কাজ হয়নি বলেও তিনি যোগ করেন । উপজেলা এলজিইডি দপ্তরের একাধিক ঠিকাদার এবং বাসা বাড়ির নকশা অনুমোদনের জন্য আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারাও আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বেপরোয়াভাবে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তোলেন। প্রত্যেকেরই অভিযোগ তিনি যোগদানের পর থেকে প্রকাশ্যে দরদাম করে ঘুষের টাকা আদায় করেন। প্রকৌশলীর বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ট দপ্তরের সংশ্লিষ্ট সেবা প্রত্যাশীরা। ঘুষ বাণিজ্যের বিস্তার অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন,আমি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে কোন কাজ করি না। এখন কেউ যদি এ ধরনের অভিযোগ করে থাকে তাহলে সেটা তার নিজস্ব অভিমত । আপনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে এব্যাপারে কথা বললে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবেন। ঝিনাইদহ জেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন বলেন, আহসান হাবিবের ঘুষ বাণিজ্যের ব্যাপারে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেলে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।