কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩০
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মেঘনায় বালু ব্যবসায় আধিপাত্য নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আটজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকজন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর গ্রামে মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম রবি ও বিএনপির বারেক প্রধান গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও মেঘনা উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি মাহবুবা ইসলাম মিলিসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল্লাহ রবি ও একই ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বারেক প্রধানের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নদীপথে চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে সম্প্রতি এখান থেকে আসা টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। এর জের ধরেই মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষ বাধে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষ চল, টেঁটা, দা, ছেনিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতের অন্ধকারে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ ভোর পর্যন্ত চলে। নলচর গ্রামটি মেঘনা নদীবেষ্টিত ও মূল এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় খরব জানাজানি হতে সময় লাগে।
এ বিষয়ে মেঘনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল ওদুদ মুন্সি বলেন, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বালু ব্যবসা নিয়ে রবি ও বারেকের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। অবৈধভাবে বালুবাণিজ্য বন্ধে আমরা বার বার চেষ্টা করেও কিছুই করতে পারছি না। তারা কারও কথা শোনে না, কাউকে মানে না। সেনাবাহিনী, পুলিশ পাঠিয়েও তাদের থামানো যায়নি। রাতে ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ হয়, এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, সংঘর্ষের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সংঘর্ষের বিষয়ে বক্তব্য নিতে রবিউল ইসলাম রবি ও বারেক প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।