মির্জাপুরে শিশু ধর্ষণ অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপার চেষ্টা প্রতিবাদে মানববন্ধন
টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি
রাহিদ রানা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুড়িপাড়া গ্রামে নানার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ২য় শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া ১০ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।গত প্রায় ২৬ দিন আগে উপজেলার কুড়িপাড়া গ্রামের সেই ঘটনা শালিসে দেড় লাখ টাকা জরিমানার মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন।এ ঘটনায় শনিবার(৮ মার্চ)ধর্ষিতার মা মির্জাপুর থানায় অভিযোগ করেছেন।থানা সূত্রে জানা যায়,শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভুক্তভোগী শিশুটির মা বলেন,ঘটনার দিন তার মেয়ে নানার বাড়ি বড়ই পাড়তে গিয়েছিল।তখন ওই গ্রামের ফিরোজ মিয়া নামের এক সিএনজি চালক কৌশলে তার মেয়েকে ডেকে নিয়ে একটি টয়লেটের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং এঘটনা কাউকে না বলতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে শিশুটি কান্নাকাটি করায় তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে তার সঙ্গে হওয়া ঘটনার বর্ণনা দেয়।ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় মাতাব্বর বাবুল, ফাজু,নূর ইসলাম,খোরশেদ আলম,ইউনুস আলী ও মালেকসহ কয়েকজন মিলে বিষয়টি গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়।ভুক্তভোগীর মা জানান,লোক লজ্জার ভয়ে তিনি আগে আইনগত পদক্ষেপ নিতে সাহস পাননি।মাতাব্বররা শাস্তি হিসেবে ধর্ষককে জুতাপেটা ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে।শালিস শেষে নগদ ৯২ হাজার টাকা ও একমাস পরে বাকি ৫৮ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।কিন্তু শিশুটির মা সেই টাকাও বুঝে পাননি।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মোশারফ হোসেন জানান,বিষয়টি জানার পর ধর্ষককে ধরতে শুক্রবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়।এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।ধর্ষক ফিরোজকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।এদিকে রোববার ধর্ষক ও সহযোগীেদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে স্হানীয় সচেতন জনগণের পক্ষ থেকে উপজেলার হাঁটুভাঙা বংশাই সেতু টোলপ্লাজার পাশে মানববন্ধন করেন।মানববন্ধনে বক্তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগেরও দাবি তোলেন।