অবৈধভাবে বাড়ি-ঘর নির্মাণ পৌর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাইফুল ইসলাম ঝিনাইদহ সংবাদদাতা-
ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়ার ভূমি দস্যু,বহু অপকর্মেরর হোতা,অবৈধ ভাবে বাড়ি-জমি দখলকারী এবং প্রাণ নাশের হুমকীদাতা বেল্লাল হোসেনের (বিলা) বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইদ্রীস আলী এবং হোসেন মিয়া। গতাকাল বিকালে আরাপপুরে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয় তারা অসহায় মানুষ, বিল্লাল তার পোষা গুন্ডা বাহিনী এবং তার তিনপুত্র হাবিব,নবাব এবং আরিফকে দিয়ে তাদের বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে,প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে। তারা জমি দখলের বিরুদ্ধে এডিএম কোর্টের আদেশ এবং থানা পুলিশের নির্দেশনাও মানছে না। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভায় গত ০২/০৩/২০২৫ তারিখে আবেদন করার পরও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পৌর সভার নকশা কারক সবুজ এবং নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল হোসেন কে ম্যানেজ করে কোন প্লান পাশ না করে অবৈধভাবে বাড়ি-ঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। বক্তব্যে বলা হয় বিলা ঝিনাইদহ সদরের ১২৫ নং মৌজার এস এ ২৩৮ খতিয়ানের ২৪০ এবং ২৪১ নং দাগের ২৬ শতক জমি দখলের জন্য জাল-জালিয়াতি করে ভূয়া দালল তৈরী করে। এর বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সহকারী জজ আদালতে ১৩৪/১১ মামলা চলমান। এই বিলা ১৯৮৫ সালে ঝিনাইদহ পৌর সভা থেকে ৩+৩ শতক জমির দাবী করে একটি প্লান পাশ করে। তিনিই আবার ১২/১১/৭৯ তারিখে ৯৭৯৩ ও ৯৭৯৪ নং দলিলে ৩+৩ কে ১৩+১৩ শতক করে ২৬ শতকের ভূয়া দলিল আদালতে দাখিল করেন। এই ভূয়া দলিল এবং প্লান পাশের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ পৌরসভায় আবেদন করা হলে ১৪/০৪/২০০২ তারিখের সিদ্ধান্তে বিল্লাল হোসেন ২৬ শতক জমির মালিক নয় বলে জানিয়ে দেয়। এবং ০৭/১২/২০২২ তারিখে তার পাশ করা নকশা ৩১/০৫/২০২৩ তারিখে বাতিলের আদেশ দেয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয় বিল্লাল হোসেন গং এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এবং জোর পূর্বক তাদের জমিতে বাড়ি-ঘর নির্মাণ বন্ধের বিষয়ে বিজ্ঞ এডিএম আদালতে মামলা করলে আদালত গত ৪/৩/২০২৫ ইং তারিখে ১৪৫ ধারায় শান্তি শৃংখা বজায় রাখার জন্য ঝিনাইদহ থানাকে আদেশ দেন। তবে আদালতের আদেশ এবং থানা পুলিশের ঐ নেটিশ অমান্য করে বিলা গং আবারও নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে। এ বিষয়ে জানতে বিল্লাল হোসেনের কাছে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে পৌর সভার নকশা কারক সবুজ জানান বিষয়টি আমার মনে পড়ছে না তবে আবেদনকারী দেখা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। ঝিনাইদহ পৌর সভার প্রশাসক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, আবেদন কারী ইদ্রিস আলীর আবেদনের বিষয়টি অতিদ্রুত সমাধান করা হবে। তবে পৌর সভার কারোর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ থাকলে সেটিও দেখা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ইদ্রিস আলী এবং হোসেন মিয়া তাদের জীবনের নিরাপত্তা এবং ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।