আদম বেপারীর খপ্পরে দেলোয়ার হোসেন

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি

রাহিদ রানা

বিদেশ পাঠানোর কথা বলে নেওয়া ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন। তিনি অভিযোগ করেছেন ১৭ বছর আগে দেওয়া টাকা পাওয়ার জন্য অনুষ্ঠিত সালিশী বৈঠক ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য অপকৌশল নিয়েছে আদম বেপারী তৌহিদুল ইসলাম রিপন। শুক্রবার বিকেলে মধুপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনা জানান তিনি।

দেলায়ার হোসেন জানান, ২০০৭ সালে বাহরাইন যাওয়ার জন্য আদম বেপারি গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দী ইউনিয়নের আব্দুল মজিদ মাস্টারের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম রিপনকে প্রথম দফায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেন। টাকা নেয়ার সময় ৩ মাসের মধ্যে বিদেশে নেয়ার প্রতিজ্ঞা করে দু’মাস পর বাকি ১ লক্ষ টাকার জন্য দেলোয়ারকে চাপ প্রয়োগ করেন এবং ভিসা হয়েছে বলে কথা দেন। এমতাবস্থায় মায়ে ২ ভরি স্বর্ণের গহণা বিক্রি করে ৩৬ হাজার টাকা এবং জমি বিক্রি করে ৬৪ হাজার টাকা প্রদান করি। এরপর থেকে তিনি প্রতারনা শুরু করেন। বিদেশের যাওয়ার ভিসাও দেন না টাকাও ফেরত দেন না। বরং টাকা চাইলে সন্ত্রাসীদের ভয়ভীতি দেখায়। মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একাধিক বার সালিশ হয় এতেও কোনো সমাধান হয়নি।

পরবর্তীতে ২০১০ সালে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের স্থানীয় একটি আবাসিক হোটেলের রুমে অবরুদ্ধ করে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে রাখেন। কিছুদিন পর রিপনের চাচাতো ভাই অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলামের বাসায় এ বিষয়ে নিয়ে পুনঃরায় সালিশী বৈঠক হলে তারা ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এসময় বৈঠকে রিপনের চাচাতো ভাই অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেন। বাকী টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেই দিচ্ছি বলে অদ্যবধি পর্যন্ত তালবাহানা করে আসছে। এব্যাপের গত ২৮ ফেব্রæয়ারি রাতে আদম বেপারী রিপনের সাথে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে টাকা চাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিআরটিসির কাউন্টারে সালিশী বৈঠক হয়। বৈঠকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় নেন এবং একটি চেক ও স্ট্যাম্প মাতাব্বার জাহাঙ্গীর আলমের হেফাজতে রাখেন টাকা ফেরত দিয়ে চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৬ মার্চ তারিখে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আদম বেপারি তৌহিদুল ইসলাম রিপনের একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে। যেখানে রিপন দাবি করে মধুপুর বিআরটিসি বাস কাউন্টারে অবরুদ্ধ করে কিলঘুষি দিয়ে জোরপূর্বক তার নিকট থেকে ব্যাংক চেকের পাতা ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। যা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন দেলোয়ার হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, শামীম আহমেদ প্রমুখ।

এব্যাপারে আদম বেপারী তৌহিদুল ইসলাম রিপন বলেন, অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে সমঝোতা বৈঠক হয়েছে। ৪০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছি। ২৮ তারিখ রাতে সালিশী বৈঠকে চেক ও স্ট্যাম্প মাতাব্বারদের কাছে
রাখা আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *