বটিয়াঘাটা বিরাট খেয়াঘাট সংস্কার অভাবে দুর্ভোগ চরমে
সেখ রাসেল, ব্যুরো চিফ, খুলনা।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বিরাট খেয়া ঘাট সংস্কার অভাবে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন এই ঘাট ব্যবহার করে কয়েক হাজার যাত্রী। ঘাট সংস্কার বা পল্টন স্থান্তর না করায় প্রতিনিয়ত নদীতে ভাটার সময় যাত্রীদের কাদাপানিতে নেমে এমনকি বাঁশের ও খেজুর গাছের সাঁকো ভাঙ্গা ঘাট দিয়ে ট্রলারে উঠতে হচ্ছে। সঠিক সেবার কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও যাত্রীদের নিয়মিত ইজারার টাকা পরিশোধ করে ট্রলারে যাতায়াত করতে হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। খুলনা জেলা বটিয়াঘাটা উপজেলা সহ দেশের সকল জায়গায় যেতে হলে এলাকার মানুষকে এই ঘাট দিয়ে ট্রলারে করে পার হতে হয়। আর আসা-যাওয়ার সময় যাত্রীদের নানা সমস্যায় পড়তে হয় ঘাট সংস্কার পল্টুন স্থান্তর না করায়। যোগাযোগের তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এখানে যাতায়াতের শেষ ভরসা ট্রলারে করে নদী পার হতে হয়। কিন্তু প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক, স্কুল কলেজের পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষক, শিশু, বৃদ্ধ নারী পুরুষ, চাকুরী জীবি, সকলকে উঠতে হয় কষ্টকরে ঝুকির মধ্যে এই ঘাট দিয়ে।জানা গেছে, বিরাট খেয়া ঘাট বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রশাসন থেকে রাজস্ব দিয়ে ইজারা গ্রহণ করেন। খেয়াঘাটের ইজারা দার চঞ্চল শেখ বলেন বছরের ১৮/১৯লক্ষ টাকা দিয়ে ঘাটের ইজারা নিতে হয় ঘাটের এই বেহাল দসার জন্য লোকজন খুবই কম পারাপার হয়। যার কারনে অনেক টাকা লোকসান গুণতে হয়। নৌকা মাঝী মুন্সি বলেন, এত টাকা রাজস্ব দিয়ে ঘাট কিনে এখন বিপদে। বটিয়াঘাটার পারে ঘাট এলাকায় ভাঙ্গন লাগায় কিছুতেই ভাঙ্গন রোধে জিওব্যাগ দিয়ে কিচুটা রোধ ও পাকা ঘাটের শেষে বাঁশের সাঁকোর ঘাট থাকায় জোয়ারে নদীর স্রোত ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ঘাট ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে। ঘাট ভেঙে যাওয়ায় কাদাপানিতে যাত্রীরা উঠতে চায় না। তারপরও মালামাল উঠানো-নামানোর ক্ষেত্রে রয়েছে আরও সমস্যা।ভান্ডার কোট ইউনিয়নের কাছা মাল ব্যবসায়ী বাবু বলেন, বালিয় ডাঙ্গা, ভান্ডার কোট, আমির পুর ইউনিয়নের লোকজন এ ঘাট দিয়ে চলাচল করে শুধু তা নয়, পাশের অনেক জেলার ও ইউনিয়নের লোকজনও যাতায়াত করে থাকে। মালামাল নিয়ে এছাড়া অনেক সময় অসুস্থ রোগী ট্রলারে উঠাতে ঘাট দিয়ে খুবই কষ্ট হয়।বৃদ্বা আব্দুল বলেন এমন ভাঙ্গা ঘাট দিয়ে কি উঠা নামা করা যায়। একই কথা বলেন মোহাব্বত নামের ভুক্তভোগী। তিনি বলেন, ঘাটের যে অবস্থা তাতে আমাদের চলতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। ঘাট সংস্কারসহ খুবই দরকার।স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য মারুফা বলেন, এই ঘাট থেকে সরকার অনেক টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে। আর সেই ঘাটে ব্যেহাল দশা বাঁশের ও খেজুর। গাছের সাঁকো দিয়ে ট্রলারে উঠতে হয়। তবে ঘাটে চলাচলরত যাত্রীরা জরুরি ভিত্তিতে এই ঘাট সংস্কারের ব্যবস্থা করে জনদুর্ভোগ থেকে এলাকাবাসীকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট জোর দাবি জানান।