বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ২২ ঘণ্টা পর হস্তান্তর

বিশেষ প্রতিনিধি: অপরাধ তথ্যচিত্র:
শনিবার (১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুটিয়া সীমান্তের ২০৫০ পিলারের সামনে পতাকা বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবারের কাছে লাশ তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন সুলতানপুর বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান ও কসবা থানার ওসি আব্দুল কাদের। অপরদিকে বিএসএফের পক্ষ থেকে ৪৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার অজিত কুমারসহ বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনা সম্পর্কে সুলতানপুর বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান জানান, বাংলাদেশি ১২ যুবক শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভারত সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে ঢুকে যায়। একপর্যায়ে বিএসএফের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএফ এক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সেই গুলি ওই যুবকের পেটে গিয়ে লাগে। পরে বিএসএফ তাকে সেখান খেকে উদ্ধার করে তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আল আমিন। আমরা বিএসএফকে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছি। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে- তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের সীমান্তে সবসময় সহানুভূতি দেখাই, যদি এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সরে আসবো। বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমরা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে সচেতনমূলক প্রচারাভিযান করছি। এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে, আমরা সচেষ্ট থাকবো।

কসবা থানার ওসি আব্দুল কাদির জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত হবে।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আহত হন আল আমিন। পরে রাত ৯টার দিকে ত্রিপুরা রাজ্যের বিশালঘর এলাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। ঘটনার পর থেকে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *