সমাবেশে বিএনপির দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক: চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সমাবেশে বক্তব্য দিতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির সমাবেশে দলটির দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুটি ককটেলেরও বিস্ফোরণ ঘটে।
আজ মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর পার্কে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে জেলা বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নেতাকর্মীরা জানান, সমাবেশ চলাকালে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুল হককে বক্তব্য দিতে দেওয়ার দাবি জানান তাঁর অনুসারীরা। কিন্তু আয়োজকরা তাঁকে বক্তব্য দিতে না দিয়ে সমাবেশের প্রধান বক্তা বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকতের নাম ঘোষণা করেন। এর পরই মঞ্চ ও সভাস্থলে বাগ্বিতণ্ডার জেরে শাহিন শওকত ও আশরাফুল হকের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শরীফ উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পুনরায় সভার কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু শাহিন শওকত বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে সমাবেশস্থলের পাশের সড়কে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে আশরাফুল হক বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম আমাকে বক্তব্য দিতে দেননি। এর প্রতিবাদ জানান দলের নেতাকর্মীরা। এর জের ধরেই আমার কয়েকজন লোককে মারধর করা হয়।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত বলেন, আশরাফুল হককে বক্তব্য দিতে না দেওয়ার কারণে এমন ঘটনা ঘটেনি। বরং তিনি আওয়ামী লীগ ও তাদের অনুসারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে সমাবেশ বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। আশরাফুল হক একজন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। তাঁকে একদফা বিএনপি থেকে বহিষ্কারের পর আবার দলে নেওয়া হয়েছে। আর তারা যে কমিটি করছে, তা দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক হয়নি।
সদর থানার ওসি রইস উদ্দিন বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কন্দ্রে করে কোনো ককটেল হামলা বা সংঘর্ষ হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। বড় ইন্দারা মোড়ে দুটি পটকা ফুটেছে।