গোপালগঞ্জ পশ্চিম করপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক প্রদীপ বাবু সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কোচিং বাণিজ্যে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জ জেলা সদর থানাধীন পশ্চিম করপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রদীপ বাবু স্কুলের শ্রেণি কক্ষে সরকার প্রদত্ত নিষিদ্ধ অমান্য করে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণির প্রায় ৫০/৬০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুই সিফটে সকালে বিকালে প্রতি শিক্ষার্থী থেকে ৫০০/- টাকা হারে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মর্মে জানা যায়। অতঃপর গত ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ সকাল ৮.০০ ঘটিকায় সরজমিনে অত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় সহকারী শিক্ষক প্রদীপ বাবু শ্রেণি কক্ষে প্রায় ২৫/৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কোচিং বানিজ্যে ব্যস্ত। যাহা তাৎক্ষনিক অত্র পত্রিকার ক্যামেরায় বন্ধি করতঃ উল্লেখ্য ছবিতেই দৃশ্যমান।
তদরুপ একই পদ্ধতিতে বিকালেও ২৫/৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে সহকারী শিক্ষক প্রদীপ বাবু শ্রেণি কক্ষে কোচিং বানিজ্যে ন্যস্ত থাকেন যাহা এলাকাবসীর ভাষ্য। তবে এই কোচিং বানিজ্যটি স্কুল বা স্কুলের শ্রণিকক্ষে করা যাবে না যাহা সরকার প্রদত্ত নির্দেশনা দির্ঘদিনের।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ব্যক্ত করে, প্রতিটি শিক্ষার্থী একই নিয়মে ৫০০/- টাকা হারে দিতে ব্যর্থ হলে সহকারী শিক্ষক প্রদীপ বাবু গালমন্দ করে গলাধাক্কা দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে শ্রেণিকক্ষ থেকে বাহির করে দিয়ে ভয় দেখায়, পরীক্ষায় কি করে পাশ করিস তা দেখে নেবো ও পর্যায়ক্রমে আরোও হুমকি দেয় টাকা দিতে না পারলে পাইভেট পড়তে আসবিনা। কয়েকটি বাচ্চা কাঁদতে কাঁদতে চলে যায়। যাহা এলাকাবসী অত্যন্ত খুব্ধ হয়ে তথ্যটি প্রকাশের জন্য উদ্বুদ্ধ হয় এবং এলাকার গরীব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়ে।
যেহেতু সকল শিক্ষার্থীরা একই নিয়মে ৫০০/- টাকা দিতে সক্ষম হতে পারে না। তবে সহকারী শিক্ষক প্রদীপ বাবুর নিষ্ঠুরতার কারণে এলাকাবাসী গভীর উদ্বেগে ব্যক্ত করে, এই শিক্ষকের বাড়ী স্কুল সংলগ্ন হওয়ায় তার দাপটের কাছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা জিম্মি।
অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক কান্তি বাবু সুদুর গোপালগঞ্জ প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে এসে স্কুলের দায়িত্ব পালন করেন বিধায় প্রদীপ বাবুর নিকট তিনিও মনে হয় জিম্মি।
প্রকাশ থাকে যে, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি এই কোচিং বাণিজ্যের সাথে কোন আকারে প্রকারে জড়িত আছে কিনা তা নিয়ে এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নজরে আনার জন্য অত্র প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো।
(আরোও বিস্তারিত জানার জন্য আগামীতে পত্রিকার পাতায় চোখ রাক্ষুন।)