৬ মোটরসাইকেল ও বাস কাউন্টার ভাঙচুর

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক:
বড়াইগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় ছয়টি মোটরসাইকেল ও একটি বাস কাউন্টার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গত রবিবার রাতে উপজেলার লক্ষ্মীকোল বাজার ও রয়না ভরট হাটে এসব ঘটনা ঘটে। ঘটনার জন্য উভয় পক্ষই পরস্পরকে দায়ী করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রবিবার বিএনপি নেতা ও তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান নোমান একটি মামলায় কারাভোগ শেষে জামিনে মুক্ত হন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তার অনুসারীরা দুই শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে তাকে বরণ করে লক্ষ্মীকোল বাজারে আসেন। সেখানে পথসভায় নোমানের দেওয়া বক্তব্যে পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শরীফুল হক মুক্তাকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে দাবি করে তার অনুসারী পৌর যুবদলের নেতাকর্মীরা তাকে বাধা দেন। এ সময় উত্তেজনার একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনার পর রাত ৯টার দিকে রয়না ভরট হাটে একটি বাস কাউন্টারে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাইফ আল মাহমুদ নিশাতকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা মেহেদী হাসান নোমান বলেন, আমার পথসভা চলাকালে একটি পক্ষের উসকানিতে অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে হামলা করা হয়েছে। এতে আমার ভাইসহ ৫ জন আহত এবং ৬টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুল হক বকুল বলেন, নোমান তার বক্তব্যে সাবেক পৌর প্রশাসক ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শরীফুল হক মুক্তা ও তার পরিবার নিয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় সেখানে উপস্থিত যুবদল নেতারা তাকে প্রতিহত করেছেন। তবে ভাঙচুরের সঙ্গে যুবদল নেতাকর্মীদের কোনো সম্পর্ক নেই।বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সেখানে একটি কক্ষে অবরুদ্ধ কয়েক বিএনপি নেতাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়াসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *