আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

আদমদীঘি প্রতিনিধি:

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে নিজেই ঠিকাদার সেজে কাজ করা এবং ঘুষ না দেওয়ায় ঠিকাদারদের বিল প্রদান না করে মাসের পর মাস হয়রানি করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাত জন ঠিকাদার স্বাক্ষরিত এক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে। অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে উপজেলা আদমদীঘি ও সান্তাহার প্রেসক্লাবেও।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, এক বছর পুর্বে তিনি এই উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে সাধারণ মানুষের সাথে প্রভু সুলভ আচরণ করে আসছেন। উপজেলা পরিষদের বিশেষ বরাদ্দের প্রায় দুই কোটি টাকার গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে নিজে ঠিকাদার সেজে বরাদ্দের প্রায় অর্ধেক পরিমান সরকারি অর্থ আত্মসাত করেন। ৫ আগস্টের পর সরকারি সিদ্ধান্তে তিনি উপজেলার প্রথম শ্রেনীরসান্তাহার পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহন করার পর থেকে তাঁর অনুপস্থিতির কারনে সব ধরণের সেবা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি পৌরসভার উন্নয়ন কার্যক্রমের ঠিকাদারবৃন্দ সময় মত কাজ সমাপ্ত করার পর বিল প্রদানের আবেদন করেন। কিন্তু প্রাপ্ত বিলের টাকার শতকরা পাঁচ ভাগ উৎকোচ না দেওয়ার কারণে প্রায় চার মাস অতিবাহিত হলেও বিল অনুমোদন স্বাক্ষর করছেন না বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এদিকে তিনি পৌরসভা প্রশাসক নিযুক্ত হবার পর মাসে দুই/চার অফিস করেন মেয়রের কক্ষে। ওই কক্ষে থাকা ভালোমানের আসবাব থাকলেও সেগুলো তাঁর পছন্দ হয়নি। এ কারণে সেগুলো বাতিল করেন এবং টেন্ডার ছাড়াই নিজে ঠিকাদার সেজে রাজস্ব তহবিলের ছয় লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে নামমাত্র আসবাবপত্র ক্রয় করেন। অপরদিকে, পৌরসভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও বগুড়া প্রশাসকের আগমন ও পরিদর্শন উপলক্ষে পৌরসভার তহবিল থেকে আপ্যায়ন করা হলেও পরে ভুয়া বিল ভাউচার মাধ্যমে প্রায় পৌনে এক লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন বলেও ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। অথচ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত। এমন অবস্থায় পৌরসভার তহবিল শুন্য হবার আশংকায় শংকিত হয়ে পড়েছেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হুজাইফা ট্রেডাস এর প্রোপাইটার শাহজাহান আকন্দ অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ বলেন, ঠিকাদারদের আনা এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি বা সত্যতা নেই। অপরদিকে পৌরসভার বিষয়গুলো নিয়ে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রায়হান মন্ডল বলেন, পৌরসভার যে বিষয়গুলো নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *