সাতক্ষীরায় চেতনা নাসক ঔষধ এপ্রে করে এক বারীতে ৪জনক অজ্ঞান করে ৯ভরী সোনা ও নগদ ১৫০০০০/= এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

এম,এ জলিল বিভাগীয় প্রতিনিধি, খুলনা।
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার দক্ষিণ চুপড়িয়া গ্রামে চেতনানাশক স্প্রে করে এক ব্যবসায়ীর পরিবারকে অজ্ঞান করে নয় ভরি সোনার গহনা ও দেড় লাখ টাকা লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার শিকার চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন—স্থানীয় সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী মুজিবর রহমান (৫৫), তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা (৪৫), মেয়ে ফারজানা আক্তার (২৫) ও জামাতা মনির খান (৩০)।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, মুজিবর রহমানের বাড়ির পাশে “খালিদ এন্টারপ্রাইজ” নামে একটি সার ও কীটনাশকের দোকান রয়েছে। ঘটনার রাতে রাত ১১টার পর মুজিবর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩টার দিকে মনির খানের দুই বছরের সন্তান মোবাশ্বের রহমান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ডাকতে গিয়ে দেখা যায়, কেউ সাড়া দিচ্ছেন না।

পরদিন সকালে স্থানীয়রা তাদের দোকানে না পেয়ে বাড়িতে যান। এ সময় মুজিবর রহমান দরজার মুখে অস্বাভাবিকভাবে হাসছিলেন এবং এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘরের ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, তার স্ত্রী, মেয়ে ও জামাতা সবাই অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। দোতলার চিলেকোঠার দরজা ও নিচতলার জানালার গ্রীল কাটা ছিল। আলমারি, ওয়ারড্রোব ও শোকেজ ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন জিনিস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল।

ঘটনার পর ঝাউডাঙা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মো. ইদ্রিস আলী জানান, তার ভগ্নিপতিসহ চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা তার বোন মেহেরুন্নেছার চার ভরি, ভাগ্নি ফারজানার পাঁচ ভরি সোনার গহনা এবং ব্যাংক থেকে উত্তোলিত নগদ দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অসীম কুমার সরকার জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীদের চেতনা কখন ফিরবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে মনির খানের শিশু সন্তান আশঙ্কামুক্ত।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিমুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *