ব্যারিকেড ভেঙে মধ্যরাতে যমুনার সামনে আন্দোলনে আহতরা, ঘটনাস্থলে হাসনাত
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক:
পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা। বিক্ষোভকারীদের থামাতে যমুনার সামনে গিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে যান গণঅভ্যুত্থান আহত শতাধিক ব্যক্তি।
পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সেটি প্রতিরোধ করে মিন্টো রোডের তিন রাস্তার মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এসময় ঘটনাস্থলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ আহত আন্দোলনকারীদের থামানোর চেষ্টা করেন।
এসময় আহতদের উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনাদের স্বীকৃতি এবং দাবি-দাওয়া পূরণের জন্য আমরাও সরকারের সঙ্গে চেষ্টা করছি। আপনারা শান্ত থাকুন, আপনাদের বিষয়গুলো নিয়ে আমরাও কাজ করছি। আপনারা দেখেছেন আমরা একাধিকবার আপনাদের হয়ে লড়াই করেছি। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনাদের দাবি পূরণ করবে। আপনাদের তালিকা করা হয়েছে।’
এ সময় আহতরা হাসনাত আব্দুল্লাহকে উদ্দেশ করে বলেন, আমাদের আরও গুলি করুন, আমরা মরতে চাই। এই পঙ্গুত্ব জীবন নিয়ে আমরা বাঁচতে চাই না। তারা বলেন, হয় স্বীকৃতি দিন, না হয় আমাদের গুলি করে মেরে ফেলুন। আমাদের স্বীকৃতি না দিলে আমরা আত্মহত্যা করবো।
হাসনাত আব্দুল্লাহ কথা বলার সময় জুলাই আন্দোলনে আহতরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, ‘বুক পেতেছি গুলি কর’, ‘রক্ত দিয়েছি আরও রক্ত দেবো’, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া আগ পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছাড়বো না’, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিন না হয় আমরা আত্মহত্যা করবো’, ‘হয় আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিন, না হয় গুলি করে মেরে ফেলুন’; এমন বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন আহত বিক্ষোভকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ছিলেন। তারাও আন্দোলনে আহত বিক্ষোভকারীদের বিভিন্নভাবে থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা আরও বলেন, আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আমরা সড়ক ছাড়বো না। আমরা বারবার সড়কে নামতে চাই না। এবার যেহেতু সড়কে নেমেছি আমাদের দাবি আদায় করেই ছাড়বো