চকরিয়ায় জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে আহত শাশুড়ির মৃত্যু
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মেয়ের জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে আহত শাশুড়ি পারভীন আক্তার (৩৮) মারা গেছেন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে, গত ১৭ জানুয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে জুমার নামাজ চলাকালে নিজ বাড়িতে স্বামীর ছুরিকাঘাতে খুন হন পারভীন আক্তারের মেয়ে উম্মে হাফসা তুহি (১৮)। ওই সময় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন মেয়েকে বাঁচাতে আসা পারভীন আক্তার।
নিহত পারভীন আক্তার চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মজিদিয়া মাদ্রাসা পাড়ার ব্যবসায়ী আবদুল হামিদের স্ত্রী।
জানা গেছে, ৮ মাস আগে হাফসাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মেহেদী হাসান। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর জেরে হাফসাকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করতো। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ মেয়ে তুহি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার বাবাকে খবর দিলে তিনি গিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ঘটনার আগের দিন মেহেদী হাসান শ্বশুর বাড়িতে যায়। ঘটনার দিন সকালে তুহিকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে পরিবারের লোকজন ছাড়া মেয়ে দিবে না জানায় বাবা-মা।
সে সময় মেহেদী চলে গেলেও ঘটনার দিন জুমার নামাজের সময় অতর্কিত বাসায় এসে তুহি ও তার মা পারভিন আক্তারকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ওইদিন ঘাতক মেহেদী হাসানকে বান্দরবানের লামা থানা পুলিশের সহায়তায় লামা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে চকরিয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন হাফসার বাবা আবদুল হামিদ।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইয়াসিন মিয়া জানান, ছুরিকাঘাতে আহত পারভীন আক্তার মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।