মাগুরায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

মাগুরা প্রতিনিধি :
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নোহাটা গ্রামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরের দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার ( ২৮ জানুয়ারি) ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

মৃত মুক্তা বেগম (১৯) উপজেলার নোহাটা গ্রামের চুন্নু শেখের স্ত্রী এবং একই উপজেলার ঘাসিয়ারা গ্রামের আকিদুল ইসলামের মেয়ে।

এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নোহাটা গ্রামের হাসেম শেখের ছেলে চুন্নু শেখের সঙ্গে চার বছর আগে বিয়ে হয় মুক্তার। তাদের ২ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।প্রায়ই তাদের পরিবারে অশান্তি হতো।পরিবারে ঝামেলা নিয়ে বহুবার শালিশ বিচার ও হয়েছে। সোমবার সকালে ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি পেচানো অবস্থায় গৃহবধূ মুক্তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখা যায়। পরে গৃহবধূর বাবার বাড়িতে খবর জানানো হয়।তবে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

নিহত গৃহবধূর মা রেহেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে স্বামীর বাড়িতে শান্তিতে ছিল না। মাদকাসক্ত স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ প্রায়ই তাকে মারধর করত। তিনদিন আগেও তারা তাকে বেধড়ক মারধর করেছে। মেয়েকে বাবা আনতে গিয়েছিল, কিন্তু তারা তাকেও অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছে। সোমবার দুপুরে আমাদের খবর দেয়, আমার মেয়ে মারা গেছে। ওরা আমার মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই, হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

মুক্তা বেগমের শ্বাশুড়ি রোসনা বেগমসহ পরিবারের লোজজন বলেন, গত পরশুদিন স্বামী -স্ত্রী দুজন মারামারি করে, চুন্নু বউকে মারধর করে। আমার ছেলের বউটা খুব জেদি অভিমান করে গলায় রশি দিয়েছে। আমরা আর কিছু জানি না।

এ বিষয় শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী বলেন, গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *