খাবার পানি সংকটের কারণে উপকূল ছাড়ছে মানুষ

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
উপরসাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর কালিগঞ্জ আশাশনি উপজেলায় এবার আগেভাগেই তীব্র খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে এক কলস খাওয়ার পানির জন্য মাইলকে মাইল ছুটতে হচ্ছে। সামনে রমজান মাস ও ভরা তাপ দেহ তার আগেই উপকূলীয় অঞ্চলে মারাত্মক খাবার
পানির সংকট দেখা দিয়েছে এক্ষুনি মানুষ খাবার পানির জন্য হাহাকার করছে। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততার পরিমাণ এত পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে যে গ্রীষ্মকাল আসার আগেই খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার পানি সংকট নিরসনের জন্য সরকারিভাবে প্লাস্টিক ট্যাংক টিউবওয়েল দেওয়া হচ্ছে কিন্তু সেগুলো উপকূলীয় অঞ্চলের জনসংখ্যার হারের তুলনায় খুব কম। সকালে ঘুম থেকে উঠেই সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর আশাশুনি ও কালীগঞ্জ উপজেলার মানুষের খাবার পানির জন্য আগে চিন্তা করতে হয়
এই তিন উপজেলায় সরকারিভাবে এবং বেসরকারি সংস্থা থেকে যে সমস্ত পুকুর পিএসএফ দিয়েছিল তার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে দেখার কেউ নেই সে কারণে মানুষ খাবার পানির জন্য ছুটছে এপিএসএফ থেকে ওই বিএসএফ পর্যন্ত তারপরও মিলছে না খাবার পানি
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদ মোখা গ্রামের আনসার আলী বলেন ভাত যাদু বা কোনভাবে জোগাড় হয় বেধে গেছে খাবার পানির অভাব সেজন্য সকালে উঠেই আগে চিন্তা করতে হয় খাবার পানি কোথায় সেজন্য শুধু নারীরা নয় দূর-দূরান্ত থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করার জন্য পুরুষরাও ছুটে বেড়াতে হয়

বুড়িগালেন ইউনিয়নের কাননবালা ৪৫ এই প্রথম কে জানান ভাত যদুবা হয় খাবার পানির মারাত্মক সংকট প্রতিদিন সকালে উঠেই আগে চিন্তা করতে হয় খাবার পানি কোথা থেকে নিয়ে আসবো এলাকায় যেগুলো পিএসএফ আছে সেগুলো সব নষ্ট তিনি আরো জানান উপকূলীয় অঞ্চলে সব জায়গায় টিউবওয়েল ফিট হয় না আবার সরকারি প্লাস্টিক ট্যাঙ্ক প্রতি গ্রামে হাতে গোনা দুই একজন পেয়েছে তা তাদের ব্যক্তিগত কাজে লাগায় এজন্য মারাত্মক খাবার পানির সংকটে পড়েছি তিনি আরো জানান খাবার পানি সংকট নিরসনের জন্য সরকারকে এক্ষুনি এগিয়ে আসতে হবে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রতিটি মানুষকে ঘরে ঘরে প্লাস্টিক ট্যাংক দিতে হবে তাহলে খাবার পানির সংকট নিরসন হবে। মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলী গ্রামের রুহুল আমিন ৬৫ এই প্রতিবেদককে জানান সামনে রমজান মাস ভরা তাপদাহের মৌসুম তার আগেই খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে প্রতিদিন এখান থেকে ৪ কিলোমিটার যে হরিনগর বাজার থেকে ভ্যান ভাড়া দিয়ে এক টাকা ৫০ পয়সা লিটার
লিটার পানি কিনে নিয়ে আসতে হয় তাও সব সময় পাওয়া যায় না সেখানে গিয়েও সিরিয়াল দিয়ে বসে থাকতে হয় কারণ মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে ৪০ হাজার মানুষের বসবাস সেখানে মাত্র তিনটে পানির প্লান চালু আছে আর যত পুকুর পিএসএফ ছিল অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে তাছাড়া আমাদের এলাকায় টিউবওয়েল ফিট হয় না। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন পঞ্চান্ন রেজাউল করিম ২২ মমতাজ ৪২ মনোরঞ্জন ৩৮ সিদ্দিক ৩৫ মনারা বেগম পঞ্চান্ন আতিয়ার ৬৫ মানিক ৫৩ হোসেন আলী ৬২ রেবেকা ৪৪ শ্যামনগর উপজেলার ইউনিয়নের আব্দুল হাকিম ৩৩ মোজাম্মেল হক ৫৫ কাওসার আলী ৬৩ আব্দুল মজিদ বাহান্ন ফাতেমা খাতুন ৩৪ ওসমান গনি ৬৭ প্রতিমা রানী পঞ্চাশ কাননবালা ৪৩ আব্দুর রশিদ ৬৫ শ্যামনগর উপজেলার ইউনিয়নের মোকসেদ ৬২ খলিলুর রহমান ৫৩ আব্দুল মাজেদ ৪২ রহমত আলী ৫৬ গণেশ মণ্ডল 63 রেখা রানী ৪২ পতিরাম মন্ডল ৫৬ তেজন্দ্রনাথ মন্ডল ৫৫ মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামের আনোয়ারা বেগম ৫৩ খাদিজা বেগম ৪৪ রেক্সোনা ৫৫ আব্দুল আলিম ৬৩ মহরম বায়ান্ন আবু রায়হান ৬৩ মরিয়ম খাতুন ৫৫ সাইফুল ৪২ গৌড়পদ মন্ডল ৫৩ গনেশ মন্ডল ৬৫ হাসান আলী ৫২ আব্দুল সাত্তার ৬৫ এরা সবাই এই প্রতিবেদককে জানান এলাকায় খাবার পানির অভাবে এলাকা ছেড়ে অতি শিগগিরই অন্যত্র ে চলে যাবেন কারণ ভাত যদিও জোগাড় করা যায় পানি যোগাড় করা এই এলাকায় বর্তমান খুব কঠিন হয়ে পড়েছে সকালে উঠেই ভাতের আগে চিন্তা করতে হয় খাবার পানির জন্য খাবার পানির যদি কষ্ট হয় তার মত কষ্ট আর কোন কিছুতেই হতে পারে না সে কারণে মানুষের জীবনের সাথে খাবার পানি অতি জরুরী বলে তারা মনে করেন। শ্যামনগর উপজেলার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান বর্তমান ঘাগড়া ইউনিয়নে মারাত্মক খাবার পানি সংকট চলছে আরো সামনে গরম মৌসুম তখন যে কি পরিমান খাবার পানির কষ্ট হবে তা বোঝাই মুশকিল হয়ে পড়েছে আমি চেয়ারম্যান সে কারণে খাবার পানির সংকটের জন্য অহরহমানুষ আমার কাছে অভিযোগ জানাচ্ছি কিন্তু আমি খাবার পানি সংকটের কোন সমাধান খুঁজে পাচ্ছি না এছাড়া অনেকেই আমার ইউনিয়ন থেকে খাবার পানির সংকটের কারণে অন্যত্রে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনেকে ইতিমধ্য চলেও গিয়েছে এমাতো অবস্থায় আমার ইউনিয়নের মানুষের দিন কাটছে খাবার পানি সংরক্ষণের যে সমস্ত প্লাস্টিক ট্যাঙ্ক সরকারিভাবে দিচ্ছে তা ইউনিয়নের জনগণের জন্য তুলনামূলকভাবে খুবই সীমিত অনেকে

ইয়ে বছরের প্রতিপাদ্য ‘ভূগর্ভস্থ পানি: অদৃশ্য সম্পদ, দৃশ্যমান প্রভাব’। উপকূল অঞ্চলের মানুষকে দিনের একটি বড় সময় ব্যয় করতে হয় খাবার পানি জোগাড় করতে। উপকূলে পানির অভাব নেই, চারদিকেই পানি। তবে সব নোনা। এ কারণে তা খাওয়ার অনুপযোগী। উপকূল অঞ্চলের খাবার পানির সমস্যা ও সমাধানের উপায় নিয়ে প্রথম আলো কথা বলেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) অধ্যাপক দিলীপ কুমার দত্তের সঙ্গে।

দিলীপ কুমার দত্ত: উপকূলীয় এলাকায় পানিতে লবণাক্ততা ছিল, আছে এবং দিনদিন সেটা বাড়ছে। লবণাক্ততা বাড়ার কারণ দুটি। একটা হলো, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। এতে সাগরের লবণ পানি উপকূলীয় এলাকায় ঢুকে পড়ছে। অন্যটি হলো, আমাদের প্লাবনভূমিতে হস্তক্ষেপ করা। বাঁধ দিয়ে পুরো প্লাবনভূমিকে আটকে দেওয়া হয়েছে, খণ্ডিত করা হয়েছে। এ কারণে প্লাবনভূমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। আর জলাবদ্ধ এলাকায় পানি আটকে থাকলে লবণাক্ততা বেড়ে যায়।

দিলীপ কুমার দত্ত: লবণাক্ততার কারণে পুরো বাস্তুসংস্থান বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবনধারণের জন্য যে কার্যকর সম্পর্ক আছে, সেটিও। কারণ, পানি হলো জীববৈচিত্র্যের মূল উপাদান। একটা এলাকার জীবনাচরণ নির্দেশিত হয় পানির কারণে। সুতরাং, পানির বৈচিত্র্য পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকার সবকিছুতেই পরিবর্তন হতে থাকে। মানুষের রোগব্যাধি বাড়ছে, নারীরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ছেন। একসময় দেখা যাবে, শুধু পানির কারণে মানুষের স্থানান্তর বেড়ে গেছে। মানুষ উপকূল ছেড়ে অন্য এলাকায় ভিড় করছে।

দিলীপ কুমার দত্ত: উপকূলীয় অঞ্চলের জনঘনত্ব আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। উপকূলীয় এলাকায় পানির অভাব নেই, অভাব রয়েছে সুপেয় পানির। জীবনধারণের জন্য যে পরিমাণ পানি দরকার, তা মাথাপিছু অনুযায়ী কমে গেছে। খাবার পানির সমস্যা সমাধানের জন্য প্রায় ৬০০-৭০০ বছর আগে থেকেই এসব অঞ্চলে বড় বড় দীঘি খনন করা হয়েছিল। খানজাহান আলীসহ অন্যরা হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন, এটাই একমাত্র উপায়। এটা হলো প্রকৃতিগত পদ্ধতি। এই পদ্ধতির কথাই এখন অনেকে বলছেন, কিন্তু সেটা নিয়ে কেউ কাজ করছেন না। ইতিমধ্যে যেসব জলাশয় ছিল, তা আমরা ভরাট করে ফেলেছি। আসলে আমাদের যেটা প্রয়োজন, আমরা ঠিক তার উল্টো পথে চলছি। আমরা সব সময় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল। ভূগর্ভস্থ পানি হলো যেকোনো উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। ভূগর্ভস্থ পানির বয়স কমপক্ষে ৬০০ বছর, ওপরে ২ হাজার ৫০০ বছর। অর্থাৎ আমরা বর্তমানে যে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করছি, তার বয়স এমনই। এই ভূগর্ভস্থ পানি পূরণ হতে কমপক্ষে ৬০০ বছর লাগবে। বর্তমানে আমাদের উপকূলীয় এলাকায় কমপক্ষে ৯৮ শতাংশ মানুষ ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে যে পরিমাণ পানি তোলা হচ্ছে তা পূরণ হচ্ছে না। যেসব জলাশয় ছিল তা ভরাট হয়ে গেছে

দিলীপ কুমার দত্ত: রেইন ওয়াটার হার্ভেস্ট বা বৃষ্টির পানি ধরে রেখে ব্যবহার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। তবে, এটা শুধু স্বল্প সময়ের জন্য খাবার পানির চাহিদা পূরণ করছে। মনে রাখতে হবে, মিঠা পানির চাহিদা শুধু মানুষের নয়, পরিবেশের প্রতিটি গাছপালা ও জীবজন্তুর জন্যও প্রয়োজন। বৃষ্টির পানি ধরে রেখে শুধু মানুষের খাবার পানির চাহিদা মিটতে পারে, কিন্তু পরিবেশের নয়। এর জন্য প্রয়োজন প্রকৃতিনির্ভর সমাধান। তবে এ ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারণ, উৎসের পরিমাণ কমে যাচ্ছে।

দিলীপ কুমার দত্ত: ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক বড় বড় পুকুর, খাল, জলাশয় খনন করে তাতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। পুকুর ও ড্রামে পানি থাকার মধ্যে পার্থক্য আছে। পুকুরে পানি থাকলে গাছপালা, জীবজন্তু সেখান থেকে পানি পায়। কিন্তু ড্রামে সে সুযোগ নেই। আসলে পানির সমস্যার জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে, খাসজমিতে মিঠা পানির আধার তৈরি করতে হবে।

প্রচলিত আছে যে ভারতের ফারাক্কা বাঁধ বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার পানিতে লবণাক্ততা বাড়ছে, এটা আসলে কতটুকু সত্য?

দিলীপ কুমার দত্ত: পাহাড় থেকে নেমে আসা ভারতের গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করলে লবণাক্ততার পরিমাণ তুলনামূলক কম হতো। তবে এটা সত্য যে ভারতের ওই পানি আমরা পাব না। কারণ, পুরো গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ড্রেনেজ এলাকায় সাড়ে ৯২ শতাংশ ভারতে রয়েছে। আমাদের জন্য যেমন ওই পানি প্রয়োজন, ওই দেশের জন্যও তেমন প্রয়োজন। ভারত তো আর তাদের চাহিদা অপূর্ণ রেখে আমাদের পানি দেবে না। তবে, আমাদের যে পানির ন্যায্যতা রয়েছে, সেটি পাওয়া গেলে সমস্যার অনেকাংশে সমাধান হবে। অন্তত দিনদিন লবণাক্ততার পরিমাণ বাড়বে না। সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে খাবার পানির তীব্র সংকট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা হয় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনি খাতুন এর সাথে তিনি বলেন আমরাও খবর পেয়েছি উপকূলীয় অঞ্চলে মারাত্মক খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে মানুষকে খাওয়ার বাড়ির জন্য মাইলকে মাইল দৌড়াতে হচ্ছে অনেকে পিএসএফের পানি দূর দূরান্ত থেকে সংগ্রহ করতে পারছে আবার অনেকে ৪৫ কিলোমিটার ভ্যানে যেয়ে বাজার থেকে পানি এক টাকা ৫০ পয়সা লিটার কিনে নিয়ে আসছে এই এলাকার মানুষের এখন বড় চিন্তা খাবার পানি সামনে রমজান ও ভরা তাপদাহ তখন আরো খাবার পানি সংকট দেখা দিবে সে সময় উপকূলীয় মানুষের মারাত্মক পানির সংকট ভোগ করতে হবে আমরা সরকারিভাবে কিছু প্লাস্টিক ট্যাংক পেয়েছি সেগুলো হতদরিদ্র দেখে দিচ্ছি কারণ সুপারিশ ছাড়াই এই প্লাস্টিক ট্যাঙগুলো আমি নিজেই যাচাই-বাছাই করে হতদরিদ্র দেখে তাদের মাঝে বিতরণ করছি। তিনি আরো জানান এরপরেও আমরা যে সমস্ত পিএসএফ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে সেগুলো মেরামতের জন্য সরকারি বরাদ্দসে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে এবং প্লাস্টিক ট্যাংকের পরিমাণ ও বেশি চাওয়া হয়েছে দেখা যাক সরকারিভাবে কতটুকু পাওয়া যায় এবং কতটুকু সহযোগিতা করা যায়। এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান শ্যামনগরে খাবার পানির মারাত্মক সংকটের কারণে ২৩ ২৪ ও ২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রায় ১২ শত প্লাস্টিক ট্যাংক ও চারশত টিউবওয়েল উপকূলীয় অঞ্চলে যে সমস্ত ইউনিয়নে মারাত্মক পানির সংকট সেই সমস্ত ইউনিয়নে বিতরণ করেছি। তিনি আরো বলেন উদ্বোধন মহলে এই অঞ্চলের মানুষের খাবার পানির সংকট নিরসনের জন্য আরো বেশি করে টিউবা এল বর্ষার পানি সংরক্ষণের জন্য প্লাস্টিক ট্যাংক চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কথা হয় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাক আহমেদের সাথে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আপনারা জানেন আমি অল্প দিন এখানে এসেছি এসেই শুনলাম উপকূলীয় মানুষের খাবার পানির সংকট খাবার পানির অভাবে অনেকেই এলাকা ছেড়ে অনেকে চলে যাচ্ছে বলে আমার কাছে খবর এসেছে সে কারণে আমি মন্ত্রণালয়ে বর্ষার পানি সংরক্ষণের জন্য প্লাস্টিক ট্যাঙ্ক এবং পদার্থ পরিমাণ টিউবয়েলের চাহিদা পাঠিয়েছি আশা করি সাতক্ষীরা জেলায় সরকারিভাবে প্লাস্টিক ট্যাঙ্ক ও টিউলের বড় ধরনের একটি বরাদ্দ পাব তাতে উপকূলীয় মানুষের কিছুটা হলেও খাবার পানির সংকটের নিরেশন হবে। তিনি আরো বলেন এছাড়া যে সমস্ত এনজিও গুলো সাতক্ষীরা জেলায় কাজ করছে তাদেরকে আমি বলব তারা যেন জনস্বাস্থ্য ও খাবার পানি সংকটের উপর কাজ করে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *