ধামরাই সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকার ধামরাইয়ে কালামপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক আরিফ আহম্মেদ ও উপসহকারী পরিচালক উজ্জল কুমার রায়সহ পাঁচ সদস্যের একটি দল অভিযানে অংশ নেয়। অভিযান শেষে সাবরেজিস্ট্রার মো. মঞ্জুরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার কাছ থেকে দুর্নীতি হয়েছে মর্মে একটি লিখিত পত্র নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ। অভিযান পরিচালনা শেষে দুদক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, কালামপুর সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ অভিযান শেষে বলেন, কালামপুর সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে দলিল করতে আসা মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। বিনা কারণে দলিলে বিভিন্ন ভুল ধরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। অভিযান চলাকালে অনেক রেকর্ডপত্র যাচাই করা হয়েছে। এতে অনেক অসংগতি পাওয়া গেছে।
খাজনা রসিদ ছাড়া জমির দলিল করার কোনো সুযোগ নেই। গত সোমবার ৫৯টি দলিল সম্পাদন করেছেন সাবরেজিষ্ট্রার মঞ্জুরুল ইসলাম। এর মধ্যে ১২টি দলিল করেছেন খাজনা রসিদ ছাড়াই। খাজনা রসিদ ছাড়া দলিল সম্পাদন করলে জাল দলিলের মাধ্যমে একজনের জমি অন্যজনের নামে দলিল করে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। জমির শ্রেণি পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। এটা অনেক বড় ধরনের অনিয়ম।
তিনি বলেন, এ অফিসের অডিট রিপোর্টে শত শত কোটি টাকার আপত্তি রয়েছে। তবে সব টাকা দুর্নীতি হয়নি কিছু প্রশাসনিক কাজও রয়েছে। তবে পুরো যাচাই করলে অনেক টাকার দুর্নীতি বেরিয়ে আসতে পারে। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে এ অফিসে ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদন আকারে কমিশনের কাছে দাখিল করা হবে। পরবর্তীতে কমিশন প্রয়োজন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সাবরেজিস্ট্রার মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘সব দুর্নীতি আমার আমলে হয়নি। আমার আগের সাবরেজিস্ট্রারের আমলে দুর্নীতি হয়েছে শত শত কোটি টাকা, যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানে।’