বৃদ্ধার বস্তাবন্দি লাশের রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার আসামির স্বীকারোক্তি

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
মাদারীপুরে বৃদ্ধার বস্তাবন্দি লাশ পাওয়ার ক্লুলেস ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার সোহাগ হাওলাদারকে (২৮) আদালতে পাঠালে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে সে। গ্রেপ্তার সোহাগ শিবচর উপজেলার বৈকণ্ঠপুর গ্রামের মো. মফিজ হাওলাদারের ছেলে। নিহত ফজিলাতুন্নেছা (৭০) একই এলাকার মৃত আবদুর রহমান আকনের স্ত্রী।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে ছেলেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য পাশের শিবচরের ছোট কুতুবপুর বাজারে যায় ৭০ বছর বয়সী ফজিলাতুন্নেছা। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শিবচর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে স্বজনরা।

নিখোঁজের ১০ দিন পর ২২ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে স্থানীয়রা বাড়ির পাশের হোগলার মাঠে পাতা আনতে গেলে একটি বস্তার মুখ রশি বাঁধা অবস্থায় দেখলে সন্দেহ হয়। পরে থানা পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এই ঘটনায় নিহতের মেয়ে রেখা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা সোহাগ হাওলাদারকে। উদ্ধার করা হয় নিহতের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল। পরে সোহাগকে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম আরো জানান, ‘নগদ টাকার প্রয়োজন হলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকে সোহাগ। পরে বৃদ্ধার গলায় স্বর্ণের চেইন দেখে লোভ হয় তার। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বস্তাবন্দি লাশ রশি দিয়ে বেঁধে বাগানে ফেলে দেয় সোহাগ। এ ব্যাপারে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *