মাগুরায় ভূমিদস্যু আখ্যা দেওয়ার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

বিকাশ বাছাড়,মাগুরা:
মাগুরায় পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধার ও দখলমুক্ত করে দুটি ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভূমিদস্যু মুল জমির ওয়ারশ গনকে ভূমিদস্যু আখ্যা দিয়েছেন প্রতিপক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে জমির ওয়ারেশদের মধ্য থেকে মোঃ শরিফুল নামে একজন মুল দলিলের ফটোকপি হাতে নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন।এ সময় তিনি বলেন, ৯৫১ নম্বর দাগে ৮৩ শতাংশ জমি এবং ৯৫৩ নম্বর দাগের ১২ড শতাংশ জমি মোট দুইটি দাগে দুইশ ছয় শতাংশ জমি আমার হাতে সেই জমির দলিলের ফটোকপি রয়েছে। এই দলিলটার মালিক ইব্রাতুল্লো। আর যে জায়গাটায় বসে রয়ছি এটাই এই জমির দলিল। এই জমির দলিল ইব্রাতুল্লোর এবং ইব্রাতুল্লোর আলাপালা আমরা। এটা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। এই জমির ওয়ারেশ আমরা৷ এই জমির ওয়ারেশ ইচ্ছামূলে খতিরন নেছা৷ খতিরন নেছার ছেলে আমার বাবা আইজদ্দিন। আমরা আইজদ্দিনের ছেলে পেলে৷ আমরা নিরীহ ও খুব সাধারণ গরীব পরিবারের সন্তান। আমাদের এই জমিটি কোনো এক সময় আমার দাদির কাছ থেকে বর্গা চাষ করতেন মাগুরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাকি ইমামের বাবা আব্দুল গফুর মিয়া পড়ে তিনি মারা গেলে বাকিি ইমাম ঐ দুইশ শতক জমি খতিরন্নেছার কাছ থেকে মৌখিক লিজ নিয়ে ইটের ভাটা তৈরি করে ব্যবসা শুরু করে। এরপর আমার দাদি মারা যায়। তবে মারা যাবার আগে দাদি আমাদের জানায় এই জমিটা আমাদের বা আমার বাপের। এই জমিটা তুই তাদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিস। এই মর্মে আমার বাপ আইজদ্দিন শেখ বাকি ইমামকে এই জমি ছাড়তে বললে সে বলে এই জমি আমাদের, জমি কিনে নিছি আমরা।

এইপর আমার বাবা মাগুরা সিভিল কোর্টে একটি কেস দাখিল করে। আমার বাপ সকল ডকুমেন্টস প্রমাণ, দলিল এবং ২২ এর রেকর্ড দাখিল করে। ঐ সময় আওয়ামী সরকার পাওয়ারে থাকায় আমার নিরীহ বাপকে কখনো ওই কোর্টে যেতে দেয়নি। এই মামলার স্বাক্ষীদের কেও কোর্টে যেতে দেয়নি।

এরপর সে ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয়বলে এই কেসটা স্থগিত আদেশ তৈরি করে। তারপর থেকে কোনো রকম টেনে টুনে নিয়ে গোপনীয় কায়দায় কেসটা হাইকোর্ট নিতে সক্ষম হই। পরে বাকি ইমাম এই জমিতে একটি ব্লিডিং তৈরি করার চেষ্টা করে তখন আমরা স্থানীয় ভাবে বাধা দিতে না পেরে আইনের আশ্রয় নিই। মহামান্য আদালত এখানে ৪৪ ধারা জারি করে এবং বাকি ইমামকে জমির কাগজ পত্র দেখাতে বলে। এসময় সে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনাই। সে ক্ষমতার বলে এযাবতকাল এই জমিটি খেয়ে আসছে। গত ১৯ তারিখে আমরা এই জমিতে দুটো ঘর তৈরি করে দখল করি কারণ এই জমিতে উল্লেখ আছে যে এই জমি ইব্রাতুল্লাহর বসত বাড়ি।

এরপর থেকে সে আমার ও আমার পরিবারের উপর বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি ও দিয়েছে৷ এ ছাড়া পুলিশ দিয়ে মাগুরা সদর থানায় ডেকে নিয়ে ঘর সড়িয়ে নেব মর্মে কাগজে লিখে স্বাক্ষর করিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন। তাই আমি বাংলাদেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি আমাদের এই নিরীহ পরিবারটি পাশে দাড়ানোর জন্য। আমরা কোনো ভুমিদস্যু না আমরা আমাদের নিজেদের জমিতে জমিতে ঘর করে জায়গা দখল করছি।

আমাদের নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় অপপ্রচার করা হচ্ছে আমরা নাকি ভূমিদস্যু। বিএনপি লোক হয়ে আওয়ামী লীগের জমি দখল করে নিচ্ছে। এটা সম্পুর্ন মিথ্যা আমরা এই মিথ্যা ও পুলিশী হয়রানির থেকে মুক্তি চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *