ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড আলিমুদ্দিনসহ দুই জন গ্রেফতার, লুণ্ঠিত ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার

সাতক্ষীরা জেলা ব্যুরো চিফ
সাতক্ষীরার ভোমরার ব্যবসায়ী জি এম আমির হামজার ২৩ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড আলিমুদ্দিনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাশিমপুর গ্রাম ও সোমবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে ভোমরা ল²ীদাড়ি থেকে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় একজনের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন শাহাজাহান আলী সরদারের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক (২৭) ও মৃত আনারউদ্দিন গাজীর ছেলে ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড আসামি আলিমুদ্দিন (৪২)।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী জিএম আমির হামজার দুইজন কর্মচারী গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে ইসলামী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক, সাতক্ষীরা শাখা থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম শেষ করে ২৩,৩৮,৫০০ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সাতক্ষীরা হতে ভোমরা স্থলবন্দরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন আলিপুর ঢালিপাড়া গ্রামস্থ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে বালুর গাদার সামনে পৌঁছালে দুইটি মোটরসাইকেলে থাকা দুষ্কৃতিকারীরা উক্ত কর্মচারীদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় অপরাধ চক্রের কাছে থাকা হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে তাদের আমির হামজার কর্মচারীদের কাছে থাকা ২৩,৩৮,৫০০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ছিনতাইয়ের সময় ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন দুষ্কৃতিকারী মেহেদী হাসান মুন্না (২৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। মুন্না সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে। পরবর্তীতে আসামি মেহেদী হাসান মুন্না আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, পুলিশ বাকি আসামিদের গ্রফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের একটি দল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের জনৈক শাহজাহান আলী খোকনের বাড়ি হতে আসামি মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিককে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে লুন্ঠিত অর্থের ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার ও জব্দ করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে সোমবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে ভোমরার লক্ষীদাড়ি এলাকা থেকে ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড আসামি আলিমুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ মামলার ঘটনায় জড়িত অপর আসামি আরাফাত গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) আদালতে আত্মসমর্পণ করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইনগত প্রসেস এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত টাকা উদ্ধারের জোর তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *