কুষ্টিয়ায় দুষ্কৃতকারীদের হুমকিতে গড়াই নদী খনন কাজ বন্ধ : থানায় অভিযোগ

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক:
​ কুষ্টিয়ায় গড়াই নদী খনন প্রকল্পের কার্যক্রম দুষ্কৃতকারীদের হুমকির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে থানায় অভিযোগ দায়েরর দুদিন পরেও কোনো সুরাহা হয়নি। পুলিশ বলছে, অভিযোগের তদন্ত চলছে, হত্যার হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নদী খননকাজ না হলে হুমকির মুখে পড়বে সুন্দরবন ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জীববৈচিত্র। গত সোমবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে একজন ড্রেজার কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে রোববার রাতে দুষ্কৃতকারীরা কর্মকর্তাদের এ হুমকি দেন।
জানা গেছে, প্রমত্ত পদ্মার প্রধান শাখা নদী কুষ্টিয়ার গড়াই নদী। মাগুরা, রাজবাড়ি, ঝিনাইদহ, ফরিদপুর, যশোর ও খুলনা হয়ে এই নদ সুন্দরবনে মিশেছে। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার ঢাল সুন্দরবন। লবণাক্ততা থেকে সুন্দরবন রক্ষায় মিঠা পানির সরবরাহ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় গড়াই নদ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুষ্ক মৌসুমে গড়াইয়ের পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে উৎসমুখ কুষ্টিয়ার তালবাড়িয়া থেকে খোকসা পর্যন্ত সাড়ে ৩৫ কিলোমিটার খনন কাজ চালিয়ে আসছে সরকার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে গড়াই রক্ষার এ খনন প্রকল্প চলে আসছে। ১১০ কোটি টাকা ব্যায়ে বর্তমান প্রকল্পটি ২০১৮ সালে শুরু হয়। বিভিন্ন কারণে সময় বাড়িয়ে এ বছর ৩০ জুন কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ বছরের ৩ জানুয়ারি কাজ শুরুর কথা ছিল। ড্রেজার নামিয়ে খননকাজ শুরুর সব আয়োজন শেষ হওয়ার মুখে গত ১২ জানুয়ারি রাতে একদল দুষ্কৃতকারী মুখ বেঁধে নদীতে ড্রেজারের কাছে এসে কাজ বন্ধের জন্য কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি দেয়। জীবনের ভয়ে খননকাজ বন্ধ রেখেছে ড্রেজার কর্মকর্তারা।

ভেড়ামারার নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজার অপারেশন বিভাগ) সৈকত বিশ্বাস বলেন, গত সোমবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে একজন ড্রেজার কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। দ্রুত কাজ শুরু করতে তারা জীবনের নিরাপত্তা ও দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, হুমকি দেয়ার ঘটনা শোনার পর একজন পুলিশ অফিসারকে সেখানে পাঠানোসহ সবরকম তদারকি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে, দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *