লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার ক্লুলেস ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারপূর্বক লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার সংক্রান্তে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত।
মশিউর রহমান ঃ প্রেস রিলিজ…..
গত ৩০/১২/২০২৪ খ্রিঃ ভোর অনুমান ০৪.৩০ ঘটিকার সময় জনৈক মুহাম্মদ কবির (৫৭), পিতা- আহাম্মদ মিয়া, মাতা-হনুফা খাতুন, সাং-পূর্ব আলাদাদপুর (আহাম্মদ মিয়ার বাড়ী), ০২নং ওয়ার্ড, ১১নং হাজিরপাড়া ইউপি, থানা- চন্দ্রগঞ্জ, জেলা-লক্ষ্মীপুর এর বসত ঘরে একটি দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। এর প্রেক্ষিতে বাদী এজাহার দায়ের করলে সূত্রে বর্ণিত মামলা রুজু করা হয় এবং তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ বেলায়েত হোসেন এর উপর অর্পণ করা হয়।
মামলাটি রুজু হওয়ার পর গোয়েন্দা নজরদারী ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অফিসার ইনচার্জ চন্দ্রগঞ্জ থানা এর নেতৃত্বে চন্দ্রগঞ্জ থানার একটি চৌকস আভিযানিক দল অত্র মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ লিটন (৩৯), পিতা- মনছুর আহাম্মদ, মাতা-মৃত রহিমা বেগম, সাং- দক্ষিণ মান্দারি (উত্তর মাঝি বাড়ি), ০৬ নং ওয়ার্ড, ১৪ নং মান্দারি ইউপি, থানা-চন্দ্রগঞ্জ, জেলা-লক্ষ্মীপুরকে গত ০৮/০১/২০২৪ তারিখ এবং আসামী মোঃ হৃদয় (১৯), পিতা-মৃত নুর হোসেন, মাতা- খাদিজা বেগম, সাং- চর চামিতা (ছৈয়াল বাড়ী), ১১নং হাজির পাড়া ইউপি, ০৪নং ওয়ার্ড, থানা-চন্দ্রগঞ্জ, জেলা-লক্ষ্মীপুরকে গত ০৯/০১/২০২৫ তারিখ গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। ধৃত আসামী মোঃ লিটন (৩৯) বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। ধৃত আসামী মোঃ লিটন (৪০) এর ফৌঃ কাঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক প্রদত্ত জবানবন্দীতে প্রকাশিত মূল ডাকাত বেলাল হোসেন (৩৯), পিতা-সফি উল্যাহ, মাতা-ফাতেমা আক্তার, সাং-রতনের খিল (বেগের বাড়ী/বেপারী বাড়ী), ওয়ার্ড নং-০৫, ১১নং হাজিরপাড়া ইউপি, থানা-চন্দ্রগঞ্জ, জেলা-লক্ষ্মীপুর এর অবস্থান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নির্ণয়পূর্বক কুমিল্লা জেলাধীন চৌদ্দগ্রাম থানার অন্তর্গত মিয়ার বাজার এলাকা হতে গত ১২/০১/২০২৫খ্রিঃ বেলা অনুমান ১২.০৫ ঘটিকার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বেলাল হোসেন (৩৯) ডাকাতির ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জড়িত অন্যান্য ডাকাতদের নাম প্রকাশ করেন এবং লুষ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মিয়ার বাজারে শুভেচ্ছা জুয়েলার্স নামক দোকানে বিক্রয় করেছেন মর্মে জানালে ধৃত ডাকাত বেলাল হোসেন (৩৯) সহ স্বর্ণকারের দোকানে গিয়ে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ১। স্বর্ণের রিং ঝুমকা ০১ জোড়া, ২। স্বর্ণের ছোট দুল ০১ জোড়া, ৩। স্বর্ণের কলেজ রিং ঝুমকা ০১ জোড়া, ৪। স্বর্ণের নথ ০১ পিস, মোট ওজন-১০ আনা দেড় রত্তি, মূল্য- ৮৬,৩০০/- (ছিয়াশি হাজার তিনশত) টাকা এবং একই জায়গায় অবস্থিত প্রীতি জুয়েলার্স হতে ৫। স্বর্ণের পার্টি চেইন ০১ পিস, ওজন- ০৬ আনা ০৫ রত্তি ০৯ পয়েন্ট, মূল্য- ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, সর্বমোট ওজন ০১ ভরি ০১ আনা ০১ রত্তি ০৪ পাটি, সর্বমোট মূল্য- (৮৬,৩০০+৫০,০০০)= ১,৩৪,৩০০/- (এক লক্ষ চৌত্রিশ হাজার তিনশত) টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ধৃত আসামী বেলাল হোসেন (৩৯) এর দেওয়া তথ্যমতে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত সাইদুল হক প্রঃ আরিফ (১৯), পিতা-মজিবুল হক, মাতা-শিউলি আক্তার, সাং-পশ্চিম নিরঞ্জনপুর (সামছুল হকের বাড়ী), থানা- সুধারাম, জেলা- নোয়াখালীকে মিয়ার বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ধৃত আসামী বেলাল হোসেন (৩৯) ও সাইদুল হক প্রাঃ আরিফ (১৯) এর দেওয়া তথ্যমতে নোয়াখালী জেলাধীন মাইজদী এলাকা হতে ১২/০১/২০২৫খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় আবুল কালাম (৩৮), পিতা- আব্দুর রশিদ, মাতা- বিবি খোতেজা, সাং- চর কলাকোপা (আব্দুল আলীর বাড়ী), ওয়ার্ড নং-০৭, আহাদ নগর, থানা-রামগতি, জেলা- লক্ষ্মীপুরকে গ্রেফতার করে হেফাজতে আনা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেওয়া তথ্যমতে অত্র মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের সনাক্তপূর্বক গ্রেফতারসহ লুণ্ঠিত হওয়া অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধারের জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি দস্যুতার মামলা রয়েছে।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে অদ্য ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি. তারিখ সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন লক্ষ্মীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্)লক্ষ্মীপুর (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জনাব মোঃ হাসান মোস্তফা স্বপন মহোদয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোহাঃ রেজাউল হক, অফিসার ইনচার্জ (চন্দ্রগঞ্জ থানা) জনাব কায়সার হামিদ, জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সহ লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।