রাতে বেরিয়ে সকালে লাশ হয়ে ফিরলেন বাবুল

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক:টেইলার্সের ব্যবসায় বেশ ভালই চলছিল বাঁশখালীর আবদুর রহিম বাবুলের সংসার। এগারো বছরের সন্তান স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। বাসার কাছে গলির মুখেই টেইলার্স দেখভাল করেন স্ত্রী সাবিনা আক্তার। গত তিনমাস আগে শখের বসে ব্যাটারিচালিত রিকশা কিনেছিলেন বাবুল (৪৫)। মাঝে মাঝে রিকশা নিয়ে বের হন। আর শখের রিকশা কাল হলো তার জীবনে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে ভোরের মধ্যবর্তী সময়ে কে বা কারা খুন করে সড়কের পাশে বাবুলের লাশ ফেলে রেখে গেছে। পাওয়া যায়নি রিকশা ও তার মুঠোফোন। ঘটনার পর থেকে মুঠোফোনটি বন্ধ রয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে নয়টায় নগরের খুলশী ঝাউতলা সেগুন বাগান এলাকায় হাত-পা বাঁধা এবং চোখে-মুখে টেপ মোড়ানো অবস্থায় লাশ দেখতে পান পথচারীরা। পরে খুলশী থানায় খবর দেওয়া হলে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে রিকশা ছিনিয়ে নিতে খুন করা হয়েছে। বাবুলের প্রতিবেশী মোহাম্মদ দুলাল চৌধুরী জানান, চকবাজার থানার দেবপাহাড় ছয় নম্বর গলিতে ২৫ বছর ধরে বসবাস করছে বাবুল। গলির মুখে সাবিনা টেইলার্স নামে একটি দোকান রয়েছে। স্ত্রী সাবিনা সেটি দেখভাল করেন। তিনি আরও জানান, তিনমাস আগে শখের বসে রিকশা কিনেন বাবুল। রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো এমনটি নয়। প্রতিদিন রিকশা নিয়ে তিনি বের হতেন না। মূলত টেইলার্সের ব্যবসা দিয়ে তাদের সংসার চলতো। স্ত্রী সাবিনা জানান, শনিবার বেলা ১২টার সময় বাবুল রিকশা নিয়ে বের হন। বিকেলে দিকে বাসায় এসেছিলেন। রাত ১২টার দিকে তিনি আবার রিকশা নিয়ে বের হন। রাতে আর বাসায় ফেরেনি। সকালে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে চমেকের জরুরি বিভাগের মর্গে তার লাশের সন্ধান মিলে। পুলিশ জানিয়েছে, লাশ উদ্ধারের সময় মরদেহের হাত গলার সঙ্গে প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল। চোখ এবং মুখ টেপ মোড়ানো ছিল। তার ডান হাতে একটি লাল রঙের হাতমোজা ছিল, বাঁ হাত খালি ছিল। খুলশী থানার উপপরিদর্শক মো. বেলাল খান বলেন, সকালে খবর পেয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে আমরা তার স্ত্রীর সন্ধান পাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, রিকশা ছিনতাইয়ের জন্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে। খুনিকে শনাক্ত করতে কাজ চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *