আইন ভেঙে সীমান্তের শূন্যরেখায় দেড় কিলোমিটার বেড়া দিলো বিএসএফ
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক:
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে বিধি লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় শ্রমিক দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে দেশটির সীমান্তরক্ষীরা। এ ঘটনায় দহগ্রাম সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফরিদুল ইসলাম ও ইউনুস আলী বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউনুস আলী বলেন, দহগ্রাম সীমান্তে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৮-এর তিন ফিট দূরত্বে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে ভারত। যার দৈর্ঘ্য দেড় কিলোমিটার।
তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবির) পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ৫১ বিজিবির কমান্ডারের ০১৭৬ কোডের নম্বরটিতে কল করলেও রিসিভ হয়নি।
৫১ বিজিবির পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার জামাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দূরে আছি। অন্য কারও কাছ থেকে আপনাকে জানতে হবে।
সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিজেদের ভূখণ্ডের বাইরে এসে দহগ্রাম ও দহগ্রাম ক্লাব পাড়া এলাকার আন্তর্জাতিক পিলারের ৮ বাই ৪১ এস পিলারের অভ্যন্তরে শূন্যরেখা (নো ম্যান্স ল্যান্ড) বরাবর আকস্মিক কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করে বিএসএফ। বিষয়টি নজরে এলে বিজিবি তাদের বাধা দেয়। এ সময় স্থানীয় কিছু মানুষ ওই সীমান্তে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন।
এ অবস্থায় সেখানে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করে সতর্ক নজরদারি করা হচ্ছে। অপরদিকে ভারতের অংশেও অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
আইন অনুযায়ী সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে ফসল চাষ ব্যতীত সীমান্তবর্তী কোনও দেশ তাদের সীমানায় বেড়া কিংবা স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। কিন্তু বিএসএফের সদস্যরা আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে সীমান্তে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করেন, ঘটনা জানতে পেরে বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা দেন। পরে কাজ না করেই ফিরে যান বিএসএফের সদস্যরা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবারও বিএসএফের অধিক পরিমাণ সদস্যদেরকে নিয়ে এসে একপর্যায়ে ক্ষমতা খাটিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেন।
স্থানীয়রা বলেন, বিজিবি সদস্যরা প্রথমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পরে তারা আর কোনও বাধা দিতে পারেননি। তারা বাধা না দেওয়ায় বিপুল সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেন বিএসএফ সদস্যরা।