জেনেভা ক্যাম্পের ‘মাদক সম্রাট’ চুয়া সেলিম গ্রেফতার
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক:
রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি সেলিম আশরাফি ওরফে চুয়া সেলিমকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার (৮ জানয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, ৫ আগস্টের পর মাদক কারবারি চুয়া সেলিম ও বুনিয়া সোহেলের দ্বন্দ্বের জেরেই ক্যাম্পে সাত জন খুন হন। এসব খুনের মামলার অন্যতম আসামি চুয়া সেলিম। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র লুট, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৩৫টি মামলা রয়েছে। এরআগে ক্যাস্পের আরেক শীর্ষ মাদক কারবারি ও হত্যা মামলার আসামি ভুঁইয়া সেলিম ওরফে বুনিয়া সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার খান আসিফ তপু বলেন, রাজধানীর জেনেভা ক্যাম্পে শীর্ষ দুই মাদক কারবারি চুয়া সেলিম ও ভূঁইয়া সোহেল। ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পের আধিপত্য ও মাদককারবির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এই দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষে সাত জন নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি সিলেট থেকে র্যাবের অভিযানে ভূঁইয়া সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর থেকে চুয়া সেলিম আত্মগোপনে চলে যান। গতরাতে গোপন সংবাদে জানা যায়, চুয়া সেলিম ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেফতার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা আক্রমণ করে আগ্নেয়াস্ত্রসহ সব জিনিসপত্র লুটপাট করে। পরে ভাঙচুর ও থানায় অগ্নিসংযোগ করে। ৫ আগস্টের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের অন্যান্য থানার মতো পুলিশ-শূন্য হয়ে পড়ে এ দুটি থানাও।
পুলিশশূন্য থানা দুটির কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সুযোগে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের সক্রিয় মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপগুলো নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এরআগে তাদের সংঘর্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পেট্রোল বোমা ও দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার থাকলেও গত ১৮ ও ১৯ আগস্টের সংঘর্ষে চুয়া সেলিম ও ভূঁইয়া সোহেল গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে পুলিশের ব্যবহৃত পিস্তল আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়, যা দুই থানা থেকে লুট করা।