জুয়েলারি ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্রনাথকে উদ্ধার আটক দু’অপহরণকারী ডিবি হেফাজতে
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক:
যশোরের চৌগাছায় বিশিষ্ট জুয়েলারি ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্র নাথ দে’র অপহরণের পর উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় মামলা হয়েছে। অপহৃতের ছেলে উত্তম কুমার দে মঙ্গলবার বিকেলে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
ওই ঘটনার রাতে আটক দুই ব্যক্তি যশোর ডিবি হেফাজতে আছেন। অপহৃত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া টাকা ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার এবং আসামি আটকে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানানো হয়েছে চৌগাছা থানার পক্ষ থেকে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় অপহরণের শিকার হন জুয়েলারি ব্যবসায়ী ও উত্তম জুয়েলার্সের মালিক ধীরেন্দ্র নাথ দে। এই ঘটনায় সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারিত হয়। মুহূর্তে বিভিন্ন এলাকার মানুষ সতর্ক অবস্থান নেন। একইসাথে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের যৌথ টিম উদ্ধার কাজে তৎপরতা শুরু করে। একপর্যায়ে ধীরেন্দ্র নাথ দে’কে সলুয়া গ্রামের মালোপাড়া সংলগ্ন এলাকা থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে ওই রাতেই আটক করা হয়।
আটকরা হলেন যশোর সদর উপজেলার ইছালি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ হোসেন (৪৫) ও ঝিকরগাছা উপজেলার বোদখানা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আবু সাঈদ আল মামুন বাবু (৪২)।
বর্তমানে তারা যশোর ডিবি হেফাজতে আছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। অপহরনের ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে মঙ্গলবার বিকেলে চৌগাছা থানায় অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা করেছেন।
বাদী উত্তম কুমার দে জানান, সোমবার সন্ধ্যায় তার পিতা যশোর শহরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দোকান হতে বের হয়ে পরিবহন কাউন্টারের পাশে ব্যবসায়ী শ্যামল কুমারের দোকানে যান। কিন্তু শ্যামল কুমার বেশ আগেই শহরে চলে যাওয়ায় বাবা যশোর যাওয়া থেকে বিরত থাকেন। একপর্যায়ে তিনি বাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তখনই সড়ক হতে সন্ত্রাসীরা তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। বাবার কাছে থাকা ৫ লাখ টাকা, একটি স্বর্ণের আংটি ও ঘড়ি অপহরণকারীরা ছিনিয়ে নেয়। টাকা ও মালামাল আমরা এখনো ফেরত পাইনি।
তার পিতা বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে তিনি জানান।
থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, সকলের সহযোগিতায় আমরা অপহরণের দুই ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। আটকরা ডিবি হেফাজতে আছেন।
অপহরণ ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার, টাকা ও মালামাল উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।