বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জিসান হত্যায় ৩ জনের ফাঁসির রায়
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক:
সাড়ে পাঁচ বছর আগে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন জিসান হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃতু্যদন্ড দিয়েছে আদালত। রোববার ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হাসিবুল হোসেন ওরফে হাসিব, শ্রাবণ ওরফে শাওন ও আব্দুলস্নাহ আল নোমান। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সজনী আক্তার নামের একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
দন্ডিত হাসিব গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাটের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। শাওন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর গোবরার ওবায়দুলস্নাহ মোলস্নার ছেলে এবং নোমান বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের পঞ্চকরণের জাকির হোসেন ওরফে খোকনের ছেলে।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি শরীফুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘আসামিদের মধ্যে শাওন পলাতক রয়েছে। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অপর দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়।’
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, পড়াশোনার পাশাপাশি বাইক রাইড শেয়ার করতেন জিসান। ২০১৯ সালের ১২ মে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শ্যামলী থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
এ ঘটনায় তার বাবা সাব্বির হোসেন সহিদ গাজীপুরের গাছা থানায় জিডি করেন। পরে শেরেবাংলা নগর থানাতেও জিডি করেন।
পরে ২৩ মে গাছা থানার মধ্য কামার জুড়ি এলাকার হাসিবুল হোসেনের বাসার সেফটি ট্যাংক থেকে জিসানের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সাব্বির হোসেন সহিদ ২৩ মে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন শেরেবাংলা নগর থানার এসআই সুজানুর ইসলাম।
২০২২ সালের ৩০ মার্চ ওই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। ২৫ সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রোববার রায় ঘোষণা করা হলো।